পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপর বিরাজমান লঘুচাপ কেটে গেলেও ক্রমশ এগিয়ে আসা মৌসুমি বায়ুর অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে গতকাল (শনিবার) ভারী বর্ষণ হয়েছে। সেই সাথে প্রবল সামুদ্রিক জোয়ারের দ্বিমুখী চাপে বন্দর নগরীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অতিবর্ষণে সপ্তাহের প্রথম দিনেই থমকে যায় দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্দর-শিপিং ও ব্যবসা-বাণিজ্যিক কর্মকা-। বর্ষণের সাথে সামুদ্রিক প্রবল জোয়ারে বিভিন্ন এলাকার সড়ক, জনবসতি তলিয়ে গেছে।
নগরীর চাক্তাই খাতুনগঞ্জ ও আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকায় শতাধিক গুদাম, আড়তে মজুদ এবং দোকান-পাটে থাকা বিপুল পরিমাণ পণ্যসামগ্রী বিনষ্ট হয়েছে। নিচু এলাকায় বসবাসরত কয়েক লাখ মানুষকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থেমে থেমে বর্ষণ অব্যাহত থাকে। আজও (রোববার) চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত, কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
বৃহত্তর উপকূলসহ চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপর গতকালসহ দু’দিন ধরে একটি লঘুচাপ বিরাজ করে। তাছাড়া দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু তথা বর্ষার বায়ুমালা উত্তর বঙ্গোপসাগর হয়ে বৃহত্তর চট্টগ্রামের উপকূলভাগের দিকে এগিয়ে এসেছে। এর সক্রিয় প্রভাবে গতকাল ভোর থেকেই চট্টগ্রাম অঞ্চলের আকাশ ঘনঘোর মেঘে ঢেকে যায়। সকালে থেমে থেমে হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণ শুরু হলেও দুপুরের পর চট্টগ্রামে অঝোর ধারায় বর্ষণ নামে। সেই সাথে উত্তর বঙ্গোপসাগরে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার কারণে দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়। সাগর উত্তাল রয়েছে। সমুদ্র বন্দরসমূহ ও উপকূল ঝড়ো হাওয়ার সম্মুখীন। এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩নং স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সাগরে মাছ শিকারী ট্রলার নৌযানসমূহকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে দমকা ও ঝড়ো হাওয়ার সাথে প্রবল বর্ষণের কারণে গতকাল চট্টগ্রাম বন্দর ও বহির্নোঙ্গরে আমদানি-রফতানিমুখী মালামাল লাইটারিং খালাস, ডেলিভারী পরিবহন কাজ ব্যাহত হয়। ব্যবসা-বাণিজ্যে, লেদদেনে ভাটা পড়ে। ভারী বর্ষণের কারণে সর্বত্র নাগরিক দুর্ভোগ বেড়ে যায়। বন্দরনগরীর চকবাজার, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, ষোলশহর, শোলকবহর, নাসিরাবাদ, বাকলিয়া, চাক্তাই খাতুনগঞ্জ, রাজাখালী, আছাদগঞ্জ, আগ্রাবাদ, সাগরিকা, হালিশহর, পতেঙ্গাসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়ক, অলিগলি, বসতঘর, দোকানপাট, গুদাম ও আড়ত কাদাপানিতে তলিয়ে যায়। অনেক সড়কে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছে।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, চট্টগ্রাম অঞ্চলে বিরাজমান লঘুচাপটি গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। লঘুচাপের বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর হয়ে বাংলাদেশের দক্ষিণাংশ ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু কক্সবাজার উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে। পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় মৌসুমি বায়ু চট্টগ্রাম বিভাগ পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে।
আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, বরিশাল, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। পরবর্তী ৭২ ঘন্টায় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের পূর্বাংশ পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।