পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এডিস মশা নিয়ে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা থাকলেও ঢাকাসহ সারাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। হাসপাতালে কমেছে রোগীর সংখ্যা। গতকাল রোববার ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯০২ জন। নতুন ভর্তি এই রোগীদের মধ্যে ঢাকায় ৪০৫ জন ও ঢাকার বাইরে ৪৯৭ জন। তবে গতকালও ডেঙ্গুকে আক্রান্ত এক রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
এর আগে গত শনিবার ঢাকায় ৩৪৯ ও ঢাকার বাইরে ৪১১ জন, শুক্রবার ঢাকায় ৪৬৫ ও ঢাকার বাইরে ৫৬০ জন, বৃহস্পতিবার ঢাকায় ৫২৪ ও ঢাকার বাইরে ৬৬৫ জন, বুধবার ঢাকায় ৬০৬ ও ঢাকার বাইরে ৫৫১ জন, মঙ্গলবার ঢাকায় ৬৯১ ও ঢাকার বাইরে ৬০৮ এবং সোমবার ঢাকায় ৫৭৭ ও ঢাকার বাইরে ৬৭৪ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফেরা রোগীর হারও বেড়েছে। গতকাল পর্যন্ত ৯৪ শতাংশ ডেঙ্গু রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য সেল জানিয়েছে। সরকারি হিসেব মতে এ বছর মোট ৭১ হাজার ০৯৭ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। আর চিকিৎসায় সুস্থ হয়েছেন ৬৬ হাজার ৬৫৮ জন।
ঠিক এক মাস আগে আগস্টের প্রথম দিন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এক হাজার ৭১২ জন। এর মধ্যে দেড় হাজার রোগীই ছিল রাজধানীতে। ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের মশা নিধনে ব্যর্থতার জন্য এডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু জ্বরের পার্দুর্ভাব ঘটে।
সরকারি হিসাবে চলতি বছর এপ্রিলে ৫৮ জন, মে মাসে ১৯৩ জন, জুনে ১৮৮৪ জন ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। জুলাই মাসে তা এক লাফে ১৬ হাজার ২৫৩ জনে পৌঁছায়। আগস্টে রোগীর সংখ্যা জুলাইয়ের তিন গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়ে ৫২ হাজার ৬৩৬ জন হয়েছে।
সরকারি হিসেবে এ বছর ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৯৬টি মৃত্যুর ঘটনার মধ্যে ৫৭ জনের মৃত্যু স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তাদের ‘ডেথ রিভিউ’ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিশ্চিত করেছে। তবে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতাল ও জেলার চিকিৎসকদের কাছ থেকে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত অন্তত ১৯০ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। বর্তমানে সারাদেশে বিভিন্ন হাসপাতালে ৪২৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এদিকে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন এডিস মশা নিধনে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিলেও ডেঙ্গু নিয়ে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চলছে। বেতার, বেসরকারি এফএম রেডিও, টেলিভিশনে ডেঙ্গু এবং এডিস মশা থেকে রক্ষার বুলেটিন প্রতিদিন প্রচার করা হচ্ছে।
যশোর : যশোরে ডেঙ্গু রোগী বেড়েই চলেছে। রোববার দুপুরে সিভিল সার্জন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে ২৪ঘন্টায় নতুন করে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ৬০জন। এই নিয়ে গত ২১জুলাই থেকে এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১হাজার ৩শ’৭৭জন। যশোর ২৫ বেড হাসপাতালের সুপার ডাঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি যথাযথ চিকিৎসা দেয়ার। পর্যাপ্ত কীটস ওষুধ রয়েছে হাসপাতালে। যশোর পৌরসভা সূত্র জানায়, এডিস লার্ভার সন্ধানের পর পৌরসভা থেকে চিহ্নিতস্থানে স্প্রে করা হচ্ছে।
বরিশাল : জুলাই-আগস্ট মাসে দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলার সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তির সংখ্যা ৪ হাজার অতিক্রম করেছে। গতকাল রোববার সকালে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ছিল ২৯৫। যার মধ্যে বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিল ১৪২। যা বিকেল নাগাদ দেড়শ অতিক্রম করে। এ সময়ে ৬ জেলার সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গুজ্বর আক্রান্ত রোগী ভর্তি ছিল ২৯৫। বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তরের মতে, গত ৩০ আগস্ট ৬ জেলা হাসপাতালে ডেঙ্গুজ্বর নিয়ে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ১০৩। ৩১আগস্ট নতুন ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৬১ তে হ্রাস পায়। কিন্তু রোববার সকালের পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় রোগীর সংখ্যা আবার ৮৯-এ উন্নীত হয়।
কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে একই গ্রামে ৪৫ জন ডেঙ্গু রোগীর সন্ধান মিলেছে। যদিও সরকারি হিসাবে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮ জন। উপজেলার ছাতারপাড়া গ্রামের এ ঘটনায় ডেঙ্গু আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের গ্রামগুলোতেও। বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর দৌলতপুর উপজেলা প্রশাসন ওই এলাকায় জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করেছে।
এদিকে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ এতদিন এ ব্যাপারে চুপচাপ থাকলেও খবরটি ছড়িয়ে পড়ার পর টনক নড়েছে তাদের। ইতোমধ্যে ওই গ্রামে কাজ করার জন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের সমন্বয়ে একটি টিম গঠন করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।