এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে এক মাস আগেই দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আগামী ৪ অক্টোবর ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার সময় নির্ধারণ হয়েছে। ওই দিন সারাদেশে ১৯টি কেন্দ্রে একযোগে ভর্তি পরীক্ষায় অনুষ্ঠিত হবে। এ ভর্তি পরীক্ষাকে সামনে রেখে রাজধানীসহ সারাদেশের মেডিক্যাল ভর্তি কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন) প্রফেসর ডা. এ কে এম আহসান হাবীব স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, আগামী ৪ অক্টোবর সকাল ১০টায় ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির জন্য বাংলাদেশের ১৯টি কেন্দ্রে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা এ যাবত কালে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে পরীক্ষা গ্রহণের ব্যাপারে সরকারের ঊর্ধ্বতন নীতিনির্ধারণী মহল সজাগ রয়েছেন। সরকারের সকল সর্তকতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে এবং সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা, সতর্কতা এবং নিরপেক্ষতার নিশ্চয়তার জন্য ১ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত বেসরকারি পর্যায়ের ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালিত কোচিং সেন্টারসমূহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সিদ্ধান্ত অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই চিঠিতে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে এ ব্যাপারে সজাগ থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এদিকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত এমবিবিএস প্রথম বর্ষে (২০১৯-২০২০) ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছে ৫৪ হাজার ৪৩৭ জন। গত ২৭ আগস্ট (মঙ্গলবার) দুপুর ১২টা থেকে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়। প্রথমদিনই অনলাইনে ৩৫ হাজারেরও বেশি আবেদন জমা পড়ে বলে জানিয়েছেন অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন) প্রফেসর ডা. এ কে এম আহসান হাবীব। ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে গত ২৭ আগস্ট থেকে অনলাইনে আবেদনপত্র গ্রহণ শুরু হয়েছে। টেলিটকের মাধ্যমে এক হাজার টাকা জমা দিয়ে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদনপত্র জমা দেয়া যাবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আগামী ৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ১০০ নম্বরের নৈব্যর্ত্তিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে পদার্থবিদ্যায় ২০, জীববিজ্ঞানে ৩০, রসায়নে ২৫, ইংরেজি ১৫ ও বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাধারণ জ্ঞানের জন্য রয়েছে ১০ নম্বর নির্ধরিত।

দেশে বর্তমানে ৩৬টি সরকারি মেডিকেল কলেজে মোট আসন সংখ্যা রয়েছে চার হাজার ৬৮টি, এর মধ্যে তিন হাজার ৯৬৬টি সাধারণ আসন। আর ৮২টি মুক্তিযোদ্ধা পরিবার এবং ২০টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কোটা হিসেবে সংরক্ষিত। অপরদিকে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে প্রায় সাত হাজারের মতো আসন রয়েছে।