পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1720167524](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীসহ সারা দেশের বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ভর্তি রোগীর সংখ্যা হাজারে নেমে এসেছে। গত ২৯ আগস্ট সকাল ৮টা থেকে গতকাল ৩০ আগস্ট সকাল ৮টা পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ২৫ জন। তবে চলতি বছর আগস্ট মাসে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা গত ১৯ বছরে নথিভুক্ত সব ডেঙ্গু রোগীর মোট সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে। এ বছর ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ৭০ হাজার। শুধু আগস্টেই আক্রান্ত ৫০ হাজার ৯৭৪ জন। অথচ সরকারের খাতায় ২০০০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মোট ৫০ হাজার ১৪৮ জনের ডেঙ্গু চিকিৎসা নেয়ার তথ্য নথিভুক্ত হয়েছে।
গতকাল যারা ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তাদের মধ্যে রাজধানী ঢাকায় ৪৬৫ জন ও ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৬৪০ জন। এর পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় (২৮ আগস্ট সকাল ৮টা থেকে ২৯ আগস্ট সকাল ৮টা পর্যন্ত) ঢাকায় ৫২৪ ও ঢাকার বাইরে ৬৬৫ জনসহ মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ১ হাজার ১৮৯ জন। এ হিসাবে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা কমেছে ১৪ শতাংশ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তবে গতকালও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৪ ডেঙ্গু রোগী মারা গেছে।
সূত্র জানায়, চলতি বছর অর্থাৎ ১ জানুয়ারি থেকে গতকাল পর্যন্ত সারা দেশের হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৬৯ হাজার ৪৩৫ জন। তার মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৬৪ হাজার ৫৫৮ জন।
বর্তমানে দেশে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৪ হাজার ৬৯৭ জন। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকার ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে সর্বমোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৬১০ জন ও অন্যান্য বিভাগে বর্তমানে সর্বমোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৮৭ জন।
এদিকে চলতি মাসে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা গত ১৯ বছরে নথিভুক্ত সব ডেঙ্গু রোগীর মোট সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানায়, চলতি বছর এ পর্যন্ত মোট ৬৯ হাজার ৪৩৫ জন ডেঙ্গু রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে আগস্টেই ভর্তি হয়েছেন ৫০ হাজার ৯৭৪ জন। অথচ ২০০০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মোট ৫০ হাজার ১৪৮ জনের ডেঙ্গু চিকিৎসা নেয়ার তথ্য নথিভুক্ত হয়েছে সরকারের খাতায়।
সরকারি হিসাবে চলতি বছর এপিলে ৫৮ জন, মে মাসে ১৯৩ জন, জুনে ১৮৮৪ জন ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। জুলাই মাসে তা এক লাফে ১৬ হাজার ২৫৩ জনে পৌঁছায়। আর আগস্টে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে জুলাইয়ের তিনগুণের বেশি।
গত এক মাসের মধ্যে ৭ আগস্ট সর্বোচ্চ ২ হাজার ৪২৮ জন রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে। ২১ আগস্টের পর থেকে হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
ডেঙ্গু জ্বরে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ৫২ জনের মৃত্যুর খবর সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তাদের ‘ডেথ রিভিউ’ প্রক্রিয়া শেষ করে নিশ্চিত করেছে। তবে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতাল ও জেলার চিকিৎসকদের কাছ থেকে অন্তত ১৯০ জনের মৃত্যুর তথ্য এসেছে বিভিন্ন মিডিয়ায়। হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম বলছে, বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত যারা ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তাদের মধ্যে ৯৩ শতাংশই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। গত কয়েক দিনের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগী ভর্তির সংখ্যা প্রতিদিনিই কমছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।