পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দেশে সাম্প্রতিক সময়ে চলমান হত্যাকা-ের ঘটনায় নিজের দোষ ঢাকার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আত্মরক্ষামূলক প্রতিবাদী পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন বলে দাবি প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমামের।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির ২০তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত প্রচার ও প্রকাশনা উপপরিষদের এক সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এইচটি ইমাম বলেন, কান টানলে মাথা চলে আসে। আমরা সব সূত্র থেকে যদি দেখি, তাহলে দেখা যায় মাথা (খালেদা জিয়া) চলে আসে। এর জন্য আগে থেকেই অফেন্স ইজ দ্য বেস্ট ডিফেন্স পদ্ধতি তারা (বিএনপি) গ্রহণ করেছে। এতে কোনো কাজ হবে না।
তিনি বলেন, বিএনপির কাছে শিষ্টাচারপূর্ণ কথা আশা করি না। যদি তাই হতো তাহলে বিএনপি নেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের প্রধান ও দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে নাম ধরে ডেকেছেন। কতটুকু বেয়াদব হলে এমন শিষ্টাচারবহির্ভূত কথা বলেছেন। এই আপত্তিকর আচরণ আমার মনে হয় আর কিছুতেই সহ্য করা যায় না।
এইচটি ইমাম বলেন, ২০০৬ সালে তাদের স্লোগান ছিল ‘মরলে শহীদ, বাঁচলে গাজী’। তারপর এটা ২০১৩ সালে এটা রূপ নিয়েছে হেফাজতে ইসলামে। ওখান থেকে লেজ গুটিয়ে চলে গেলেও এখন তারা নিয়েছে ভিন্ন পথ। কারণ যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাসী নয়। যারা সমাজের শত্রু, মানুষের শত্রু এরা কখনও শোধরাবার নয়। এরা ওই স্লোগানেই বিশ্বাসী। আর তাই তারা তাদের অস্ত্র আরও শানিত করেছে। এখন তাদের হাতে চাপাতি আর বন্দুক। আর এই পদ্ধতিতে প্রত্যেকটি জায়গাতে একই কায়দায় হত্যা করা হচ্ছে। এরা এমন কৌশল বের করেছে যে কত দ্রুত হত্যা করা যায়।
তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গায় যতগুলো গুপ্ত হত্যা হয়েছে তার প্রায় গুলোই গুছিয়ে এসেছে। সুরাহা হয়ে এসেছে। আমরাও এই বিষয়গুলো জানি। কিন্তু সব তথ্য প্রকাশ করা যায় না। কীভাবে কখন কোথায় হত্যা করা হচ্ছে, এর যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। এই যোগসূত্র থেকে আমরা পাচ্ছি যে, শিবির এবং ছাত্রদল এবং তাদের মাথা যারা অর্থাৎ ছত্রছায়া দিছে যারা তারা হলেন জামায়াত এবং বিএনপি। তাদের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী হিন্দ, জামায়েতে ইসলামী পাকিস্তান, আলকায়দা, তালেবান, সিরিয়ার আইএস, মুসলিম ব্রাদার হুড, নাইজেরিয়ার বোকো হারাম, সোমালিয়ার আল-সাবাব এরা একই সূত্রে গাঁথা। এরা মানবতার শত্রু।
এইচটি ইমাম বলেন, মিডিয়াতে আপনারা দেখছেন পাকিস্তানের রাজনীতিবিদরা কী নিয়ে আলাপ-আলোচনা করছে। আর আমাদের দেশে তারা (বিএনপি) কিভাবে কথা বলছে। তাহলে দেখবেন দুয়ে দুয়ে চার। পাকিস্তান ১৯৭১ সালের পর থেকে এখনও পর্যন্ত আমাদের মানসিকভাবে মেনে নিতে পারেনি। তারা সব সময়ই চায় কীভাবে আমাদের ক্ষতিসাধন করবে।
প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, তাদের (পাকিস্তানের) এজেন্ট বা দালালরা যারা এদেশে আছেন তাদের মাধ্যমে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ৯৬ পর্যন্ত এ অত্যাচার চলছিল। তারা কিলিংকে একটা আর্টে পরিণত করেছিল। যাকে আমি বলি আর্ট অব কিলিং। কীভাবে হত্যা করতে হবে, কত দ্রুত করতে হবে, হত্যা করে কীভাবে পালিয়ে যেতে হবে এ সমস্ত কাজে তারা পারদর্শী হয়ে উঠছিল। যেগুলো করতো আল-বদর, আল-শামস এরা। সেই ধারাতে ২০০১ থেকে ০৬ পর্যন্ত যতগুলো আক্রমণ হয়েছে সব একই রকমের।
তিনি বলেন, তখন আমরা জানতাম শিবির এবং জামায়াত হল মূল ছত্রছায়া। আর ওই জামায়েতের শক্তি হল বিএনপি। এরা সব সময় একসঙ্গে কাজ করতো। আর শিবির এবং ছাত্রদল এদের মধ্যে আমি খুব একটা পার্থক্য দেখি না। তাদের মধ্যে মানুষ মারার যে আর্ট; তখন ছিল রগকাটা কারণ তখন তারা জানত কোন রগটি কাটলে মানুষ দ্রুত মারা যায়। তারপর আস্তে আস্তে বোমাবাজি।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।