পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে যথাসময়ে কার্যকর মশার ওষুধ না কেনার দায় দুই সিটি করপোরেশন এড়াতে পারে না- মর্মে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল সোমবার বিচারপতি তারিক উল হাকিম এবং বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর ডিভিশন বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা এবং উত্তর সিটির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট তৌফিক ইনাম টিপু। সরকারপক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাইনুল হাসান ও সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল সায়রা ফাইরোজ।
গতকাল দুই সিটির পক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করে দাবি করা হয়, ভারতীয় কোম্পানি থেকে আনা নতুন দুই ধরণের মশার ওষুধ আনা এবং ১০ আগস্ট থেকে তা ছিটানো হচ্ছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়াসহ এ ধরণের অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ চলছে। আর স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রতিবেদনে হাইকোর্টকে সারাদেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কমে আসার বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। প্রতিবেদনগুলোর ওপর শুনানি নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আইনজীবী আদালতকে বলেন, সরকারিভাবে ওষুধ আনার বিষয়ে আমরা (ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন) আবেদন করেছিলাম। কিন্তু এ বিষয়টিকে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় ফেলা সরকারের উচিত হয়নি। এর কারণে আদালতের আদেশের পরও ৭ দিন আমরা ওষুধ ছিটাতে পারিনি। এর মধ্যে আবার কোরবানির ঈদ চলে আসে। সিটি করপোরেশনের দায়িত্বও তখন বেড়ে যায়। তাদের অনেক কাজ করতে হয়। অথচ মশার ওষুধ আনতে সরকার সরাসরি উদ্যোগ নিলে মাত্র তিন দিন সময় লাগতো। পরে আদালত মশার ওষুধ আনার প্রক্রিয়ায় ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারের কর্মকান্ড নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। আদালত বলেন, সময়মতো কার্যকরী মশার ওষুধ না কেনার দায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি সরকারও এড়াতে পারে না। ডেঙ্গুতে মানুষ মারা যাচ্ছে। এ বিষয়ে ব্যার্থতায় কারা দায়ী তা নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা যায় কি না সে বিষয়ে আগামী ২৮ আগস্ট তারিখ ধার্য করেন আদালত।
উল্লেখ্য, গত ১৪ জুলাই আদালত তার আদেশে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া প্রতিরোধে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তা জানাতে ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটির মেয়র, নির্বাহী কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে জানাতে নির্দেশ দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।