পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সিঙ্গাপুর বিজনেস ফেডারেশনের (এসবিএফ) নির্বাহী পরিচালক মি. সু উই-চিয়েহ গতকাল এফবিসিসিআই নেতৃবৃন্দের সাথে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে এ আগ্রহ দেখান। এসবিএফ-এর ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদল, যারা এনভায়রনমেন্টাল সল্যুশন, আর্থিক সেবা খাত এবং কনজ্যুমার গুডস খাতে প্রতিনিধিত্ব করছে, তারা বর্তমানে তিন দিনের সফরে বাংলাদেশে রয়েছেন। এ সফরে তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করবেন এবং বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেবেন। এফবিসিসিআই এবং এসবিএফ’র যৌথ উদ্যোগে স্থানীয় এক হোটেলে ‘সিঙ্গাপুর-বাংলাদেশ বিজনেস নেটওয়ার্কিং’ অনুষ্ঠানে এসব আলোচনা হয়। এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। তিনি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির বর্ণনা দেন এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে সরকারের নেয়া বিভিন্ন কর্মসূচী তুলে ধরেন। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশেই সবচেয়ে উদার এবং সহজ বিনিয়োগ সুবিধাদি রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বাংলাদেশে বিনিয়োগকারী সিঙ্গাপুরের কোম্পানিগুলোকে এদেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখায় ধন্যবাদ জানান। তিনি সিঙ্গাপুরের কোম্পানিগুলোকে এফবিসিসিআইয়ের করপোরেট সদস্য হবার আহŸান জানান। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন, জাপান, নেদারল্যান্ড এবং সিঙ্গাপুর থেকেই বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ এসেছে বলে এফবিসিসিআই সভাপতি উল্লেখ করেন। শেখ ফাহিম বলেন যে, বাংলাদেশে স্বল্প উৎপাদন ব্যয় এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের সহজ প্রবেশাধিকার থাকায় সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়িরা এদেশে আরও বেশি পরিমানে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে পারেন।
অনুষ্ঠানে সিঙ্গাপুরের শীর্ষস্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি খাত, পরিবেশ, আর্থিক সেবা খাতসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বাণিজ্য খাতের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ নেয়। বাংলাদেশের উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দসহ শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই সহ-সভাপতিবৃন্দ ও পরিচালকবৃন্দ অংশ নেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ ১৪৯ দশমিক ৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য সিঙ্গাপুরে রপ্তানি করে এবং সিঙ্গাপুর থেকে ২২৮৬ মিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে। সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের রপ্তানিযোগ্য পণ্যগুলো হচ্ছে নীটওয়্যার, ওভেন গার্মেন্টস, কৃষিপণ্য, প্রকৌশল পণ্য এবং হোম টেক্সটাইল। আর সিঙ্গাপুর থেকে মুলত খনিজ পণ্য, মেশিনারী সামগ্রী এবং কেমিকেল পণ্য আমদানি করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।