পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ছাত্রলীগের সঙ্গে ছাত্রশিবির কর্মীদের সংঘর্ষের প্রায় চার বছর পর চট্টগ্রাম কলেজের দুুটি ছাত্রাবাস খুলে দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে একটি ছাত্রীনিবাস ও অপরটি অমুসলিম ছাত্রদের ছাত্রাবাস। একই সাথে নবনির্মিত জননেত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রীনিবাসও শিক্ষার্থীদের জন্য উম্মুক্ত করে দেয়া হচ্ছে। এসব হলে আসন রয়েছে ২৫৮টি। এর ফলে শিক্ষার্থীদের আবাসিক সঙ্কট কিছুটা হলেও কমবে। এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সবকটি ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাস দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীর দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
কলেজ সূত্র জানায়, নবনির্মিত ছাত্রী নিবাসটি চলতি মাসের শেষের দিকে খুলে দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ছাত্রীদের নামে সিট বরাদ্দও দেয়া হয়েছে। হযরত খাদিজাতুল কোবরা (রা.) ছাত্রীনিবাসও খুলে দেয়া হচ্ছে। অমুসলিম শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দকৃত ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ছাত্রাবাসটি খুলে দেয়ারও প্রস্তুতি চলছে। তবে আপাতত বন্ধ থাকছে শেরে বাংলা, শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও আবদুস সবুর ছাত্রাবাস। টানা চার বছরের বেশি সময় বন্ধ থাকায় এসব হল ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সংস্কারের পর এ তিনটি ছাত্রাবাস খুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন কলেজের প্রিন্সিপাল আবুল হাসান। বন্ধ ছাত্রবাস খুলে দেয়ার দাবি করে আসছিলো শিক্ষার্থীরা।
বিগত ২০১৫ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান করতে চট্টগ্রাম কলেজ ক্যাম্পাসে যায় ছাত্রলীগ। এসময় ছাত্রশিবিরের সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়। এর জের ধরে চট্টগ্রাম কলেজ ও হাজী মুহম্মদ মহসীন কলেজের সবকটি ছাত্রাবাস বন্ধ করে দিয়ে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়। সেই থেকে ছাত্রাবাসগুলো বন্ধ রয়েছে। তার আগে টানা ৩৪ বছর এসব ছাত্রাবাসে ছাত্রশিবিরের একক আধিপত্য ছিলো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।