Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ধান কেনায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপর নির্ভরশীল হবো না : কৃষিমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ আগস্ট, ২০১৯, ৮:৪৮ পিএম

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সঠিক প্রক্রিয়ায় ধান কেনা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে কৃষকের তালিকা সংগ্রহ করা হবে। তিনি বলেন, কৃষক যাতে সামনের মৌসুমে ধানের ন্যায্যমূল্য পায় আমরা তা নিশ্চিত করবো। ইতোমধ্যে যে ধান কেনা হয়েছে, কৃষকের সেই তালিকা আমরা সংগ্রহ করবো। সেই তালিকা আমরা যাচাইবাছাই করে দেখবো তারা প্রকৃত কৃষক কিনা। এ লক্ষ্যে আগামীকালই চিঠি দেয়া হবে। ধান কেনার ক্ষেত্রে আমরা শুধু খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপর নির্ভরশীল হবো না।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষি তথ্য সার্ভিস মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরষ্কার স্বর্ণপদক প্রাপ্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সংবর্ধনা প্রদান এবং গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে, তিনি কৃষি তথ্য সার্ভিসের প্রেস ভবনের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন, কৃষি যোগাযোগ ও তথ্য সেবা কেন্দ্র ও এআইএস টিউিব (ডিজিটাল আর্কাইভ), জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি উদ্বোধন ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, শিগগরিই ফিলিপিনে ১ লাখ টন চাল রফতানি করা হবে। এজন্য একজন ব্যবসায়ী এলসি খুলেছে বলেও জেনেছি। তিনি বলেন, কয়েক বছরের মধ্যে কৃষি ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে৷ এবার কৃষিতে প্রবৃদ্ধি ৩৪ শতাংশ। কৃষি বিপনন ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, কৃষি বিপনন সংস্থাকে আরও সংস্কার করা হবে। তারা শুধু কাওরান বাজার গিয়ে বাজারদর লিখবে আর তা প্রচার করবে তা হবে না। আন্তর্জাতিক বাজার ও মাঠ পর্যায়ে কৃষকের সঙ্গেও তাদের কথা বলতে হবে৷

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এলিট শ্রেণীর মানুষ আগে কৃষিতে আসতো না। কৃষি অনেকটা গালিই ছিল। চাষা বলে অবজ্ঞা করা হতো। কৃষির অবস্থা এখন আর আগের মতো নেই। এখন এলিট শ্রেণীর মানুষরাও এই পেশায় নিয়োজিত হচ্ছে। দেশ খাদ্য উৎপাদনে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ধান ও চাল উৎপাদনে আমরা এখন উদ্বৃত্তের তালিকায় আছি। কিন্তু ধানের দাম অস্বাভাবিকভাবে কমে গেছে। আলু উৎপাদনও বেশি হয়েছে। এবছর ৩৩ লাখ টন আলু উতপাদন বেশি হয়েছে। এখন এক বিগা জমিতে ৩০ মন ধানও উৎপাদন হচ্ছে। দানাদার খাদ্য উৎপাদনে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি৷

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পার্বত্য চট্রগ্রাম এলাকায় কাজু বাদাম ও কফি চাষ সম্প্রসারণ করা হবে। আমরা ভিয়েতনাম থেকে কফি ও কাজু বাদামের চারা নিয়ে আসবো। এবং সেগুলো চাষ করতে সারাদেশে বিতরণ করা হবে। কাজু বাদাম ও কফি চাষের বাস্তব অভিজ্ঞতা নিতে আমরা কয়েকজন কৃষককে ভিয়েতনাম পাঠাবো।

বিদেশে বিভিন্ন কৃষি পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে দেশে আধুনিক এক্রিডেটেড ল্যাব স্থাপন করা হবে। তিনি বলেন, আমাদের দেশে এক্রিডেটেড ল্যাব নেই। শিগগিরই পূর্বাচলে একটি আধুনিক এক্রিডেটেড ল্যাব স্থাপন করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, আগামী বোরোতে বা আমনে কোনভাবেই যেন কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ না হয় তা লক্ষ্য রাখবো৷ যান্ত্রিকীকরণে কৃষকে আরও বেশি প্রণোদনা দেয়া হবে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষক পদক প্রাপ্তদের এআইপি (এগ্রিকালচার ইমপর্টেন্ট পার্সন) কার্ড দেয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, এই কার্ড ব্যবহার করে সিআইপি কার্ডের মতো বিশেষ কিছু সুবিধা পাওয়া যাবে।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক ড. মো নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক হামিদুর রহমান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কৃষিমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ