পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : রমজানের সাধারণ নিয়ম হচ্ছে ভোররাতে সাহারী খাওয়া এবং সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা। মাঝখানে সারাদিন কোনো ধরনের খাদ্য কিংবা পানীয় গ্রহণ চলবে না। কিন্তু যেসব দেশে কখনোই সূর্য ডুবে না বা মাত্র দু’এক ঘণ্টার জন্য সূর্য অস্ত যায় সেসব দেশের মুসলিমরা তাহলে কীভাবে রোজা রাখবেন? সুমেরু বলয়ে থাকা দেশগুলোতে রোজা রাখা আসলেই বেশ কষ্টকর। কেননা সেখানে এমন কিছু দেশ আছে যেখানে সূর্য অস্ত যায় না। যেমন লেপল্যান্ড, ফিনল্যান্ড ও সুইডেন। ফিনল্যান্ডের কথাই ধরুন, সেখানে মাত্র ৫৫ মিনিটের জন্য সূর্য অস্ত যায়। তারপরও সেসব দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা নিয়মিত রোজা পালন করছেন। এ নিয়ে স্থানীয় এক সংবাদ মাধ্যমের কাছে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন মোহাম্মদ নামের এক বাংলাদেশী যুবক। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘আমরা বেলা ১টা ৩৫ মিনিটে সাহারী খাই। ইফতার করি সন্ধ্যা ১২টা ৪৮ মিনিটে।’ অর্থাৎ আমাদের মোট ২৩ ঘণ্টা ৫ মিনিট রোজা থাকতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশে থাকা আমার আত্মীয় ও বন্ধুরা এ কথা বিশ্বাসই করতে চায় না যে, আমরা ২০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে সওম পালন করি। যখন তারা শোনে আমাদের দীর্ঘ ২৩ বা সাড়ে ২২ ঘণ্টা ধরে সওম পালন করতে হয় তখন তারা অবাক হয়ে যায়। তারা তখন জানতে চায়, এত দীর্ঘ সময় আমরা কীভাবে না খেয়ে থাকি। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে আমরা অত লম্বা সময় ধরে সওম পালন করতে পারি।’
ফিনল্যান্ডের আশপাশের দেশগুলোর অবস্থাও কমবেশি একই রকম। যেমন লেপল্যান্ডের মুসলিমরা মধ্যপ্রাচ্য বা আশপাশের মুসলিম দেশগুলোর সময় অনুসারে সওম পালন করে থাকেন। আসলে কতটা সময় ধরে সওম পালন করা হচ্ছে সেটি কোনো বিষয় নয়। আসল প্রশ্ন হচ্ছে, আপনার ঈমানের জোর কতটা মজবুত? ঈমানের জোরেই ফিনল্যান্ডের মত দেশগুলোর মুসলিমরা দীর্ঘ ২৩ ঘণ্টা ধরে সওম পালন করছেন। সূত্র : দ্যা ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।