পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজশাহী ব্যুরো : পদ্মা নদীর ওপারে পবা উপজেলার চর মাঝাড়দিয়াড় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশী যুবক নিহত ও আরেকজন আহত হয়েছে। নিহত রনি খালাসি (২৮) চর মাঝাড়দিয়াড় গ্রামের মৃত আবুল খালাসির ছেলে। গুলিতে আহত সামিউলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে মাঝাড়দিয়াড় সীমান্তের ১৬৫ নম্বর সীমান্ত পিলারের কাছে বিএসএফ সদস্যরা রনিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে সে গুলিবিদ্ধ হলেও সেখান থেকে বাড়ি চলে আসে। পরে ভোররাত ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
বিজিবির ১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক শাহজাহান সিরাজ বলেন, ‘আমরা ঘটনাটি শুনেছি। ভারতের সীমান্ত থেকে রনির বাড়ির দূরত্ব মাত্র এক কিলোমিটার। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’ লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘লাশ এখনও তার বাড়িতেই আছে। বিষয়টি এখন পুলিশের ব্যাপার।’
এদিকে, আলাদা ঘটনায় রাতেই ওই সীমান্তে সামিউল নামে আরেক যুবক বিএসএফের গুলিতে আহত হয়েছেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য সালাউদ্দিন টুকু জানান, আহত সামিউলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পতাকা বৈঠকে জেলেদের ফেরত দিলো দুই দেশ
এদিকে রাজশাহীর চারঘাটের ইউসুফপুর সীমান্তে পদ্মা নদীতে মাছ ধরার সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের পাল্টাপাল্টি জেলে আটকের পর রাতে চরে পতাকা বৈঠকের পর ফেরত দেয়া হয়েছে।
বিজিবি জানায়, বুধবার রাত নয়টার দিকে বাংলাদেশের চকপাড়া ও ভারতের কাগমারী সীমান্তের মধ্যবর্তী স্থানে বালুচরে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক হয়। বৈঠকে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী একে অপরের দেশের জেলেদেও ফেরত দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর দুই দেশের জেলেদের বিনিময় ঘটে। পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে বিজিবির চারঘাটের কোম্পানি কমান্ডার মো. আলী নেতৃত্ব দেন। এ সময় চারঘাটের আলাইপুর সীমান্ত ফাঁড়ির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার গোলাম মোস্তফাসহ কয়েকজন বিজিবি সদস্য উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ৮৩ বিএসএফ’র কাগমারী ক্যাম্পের এসি সঞ্জয় কুমার।
উল্লেখ্য, বুধবার সকালে বিএসএফ সদস্যরা চারঘাটের সীমান্ত এলাকা চকপাড়া ও সাড়িয়াখাল এলাকার বিপরীতে পদ্মা নদী থেকে দুটি নৌকাসহ নয় বাংলাদেশী জেলেকে ধরে নিয়ে যায়। এর পাল্টা হিসেবে বিজিবি সদস্যরাও নদী থেকে এগারো ভারতীয় জেলেকে ধরে নিয়ে আসে। এরপর বিকেলে দুই বাহিনীই পতাকা বৈঠকের জন্য একে অপরকে চিঠি দেয়। পরে রাতে পতাকা বৈঠকের পর নিজ নিজ ঘরে ফেরে আটককৃতরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।