পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সারাদেশে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা আরো কিছুটা কমেছে। একই সঙ্গে কমেছে নতুন ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যাও। আর তাই রাজধানীসহ সারাদেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। গত ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ (সোমবার ১৯ আগস্ট সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১ হাজার ৫৭২ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানীর ৪১টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ৭৫০ জন এবং দেশের অবশিষ্ট জেলাগুলোতে ৮২২ জন, যা আগের দিনের তুলনায় ৪৩ জন কম। এ হিসাবে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে কমতে শুরু করেছে। বর্তমানে ঢাকার ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৪১৩ জন। এছাড়া সারাদেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ৪৭০ জন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা ৫৬ হাজার ৩৬৯ জন। তাদের মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৪৯ হাজার ৮৫৯ জন। এ বছর শুধু আগস্ট মাসের ১ থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩৭ হাজার ৯০৮ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা নিচ্ছেন ৫১ ডেঙ্গু রোগী।
এদিকে গতকাল সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে আরও ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ বছর বর্ষার শুরুতেই ঢাকায় এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়; তারপর তা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। গত বছরজুড়ে যত ডেঙ্গু রোগী ছিল, এবার আগস্টের আগেই তা ছাড়িয়ে যায়। সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তাদের ‘ডেথ রিভিউ’ প্রক্রিয়া শেষ করে এ পর্যন্ত ৪০ জনের ডেঙ্গুতে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। তবে বিভিন্ন হাসপাতাল ও জেলার চিকিৎসকদের কাছ থেকে অন্তত ১৭৩ জনের মৃত্যুর তথ্য পেয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) প্রফেসর ডা. সানিয়া তাহমিনা বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। এই ধারা অব্যাহত থাকবে। ঢাকার বাইরে যে সংক্রমণটা দেখা দিয়েছিল সেটি ছিল স্বল্প সময়ের জন্য। এভাবে নামার ধারাটা আরো কিছুদিন অব্যাহত থাকলে আমরা বলতে পারব যে, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে সে কথা বলার সময় এখনো আসেনি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচলক ডা. আয়েশা আক্তার জানান, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৫৬ হাজার ৩৬৯ জন ভর্তি হন। একই সময়ে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৯ হাজার ৮৫৯ জন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু আক্রান্ত ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ৪৭০ জন। এর মধ্যে রাজধানীর ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৪১৩ জন। ঢাকার বাইরে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৫৭ জন। এই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ৪০ জনের। তবে প্রকৃত আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি।
ডা. আয়শা আক্তার জানান, সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আইসিইউতে ভর্তি রোগী আছেন ৫১ জন। এই রোগীর মধ্যে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালগুলোতে আছেন ২৫ জন। তাদের মধ্যে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রয়েছেন ৪ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ১৩ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ৩ জন, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে একজন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে একজন এবং কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৩ জন। বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে স্কয়ার হাসপাতালে ৬ জন, সেন্ট্রাল হাসপাতালে ২ জন, ইউনাইটেড হাসপাতালে ৩ জন, অ্যাপোলো হাসপাতালে ৯ জন, আদ-দ্বীন হাসপাতালে ২ জন, ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে একজন এবং উত্তরা আধুনিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৩ জন রয়েছেন।
৪ জনের মৃত্যু : প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে গতকাল আরো চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একজন বরগুনার আমতলীর স্কুলশিক্ষিকা আসমা বেগম। অন্য দু’জন হলো নেত্রকোনার দুর্গাপুরের কার চালক সেলিম, শরীয়তপুরের ডামুড্যার গৃহবধূ সুরাইয়া আক্তার এবং কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার রাসেল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।