পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
পাবনা জেলা সংবাদদাতা ঃ পাবনার সাঁথিয়া, সুজানগর ও বেড়া উপজেলায় ভেজাল দুধ তৈরি করে আবারও বাজারজাত করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। গত মে মাসে র্যাবের ভেজালবিরোধী অভিযানে কিছুদিন বন্ধ থাকার পর দুধে ভেজালকারীরা আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে। মাহে রমজানে দুধের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় ভেজালকারী চক্র আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে, বাজারজাত হচ্ছে ভেজাল তরল গরুর দুধ। সূত্র মতে, ভেজাল দুধে ফ্যাট তৈরি করতে সয়াবিন, কম দামি মেয়াদোত্তীর্ণ দুধের পাউডার, সোডা, গ্লুকোজ ইত্যাদি পানিতে মিশিয়ে ভেজাল দুধ তৈরি করা হয়। ভেজাল দুধে সয়াবিন মেশানো হয় দুধে চর্বি জাতীয় সর তৈরি করার জন্য। এই দুধ স্বাভাবিক দৃষ্টিতে ভেজাল বলে ধরা যায় না। দুধে কী পদার্থ মিশ্রিত করে ভেজাল করা হচ্ছে তা নিরূপণে পৌরসভাসমূহে কোনো যন্ত্র নেই। পৌর সেনেটারি ইন্সপেক্টররা শুধু দুধে পানির মিশ্রণের পরিমাণ জানতে পারেন। ভেজালকারীদের ভেজাল তৈরির সরঞ্জামাদিসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করতে না পারলে জানা যায় না দুধে ভেজাল দেয়ার বিষয়টি। পাবনা র্যাব-১২ ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে গত মে মাসে জেলার সাঁথিয়া ও সুজানগর উপজেলায় দুধে ভেজালকারীদের ধরতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানে যায়। এ সময় সুজানগর উপজেলা আন্ধারকোটা গ্রামের বকুল সরদার (৩০) ও হারুন মোল্লা নামে দুধে ভেজালকারী দুইজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে এবং ভেজাল তৈরির সরঞ্জামাদি ব্লান্ডার মেশিন, সয়াবিন তেল, গ্লুকোজ জব্দ করে। এদের দেয়া তথ্যে জানা যায়, কী কী উপাদান দিয়ে গরুর ভেজাল দুধ তৈরি করা হয়। একই মাসে র্যাব সাঁথিয়া উপজেলায় অভিযান চালিয়ে নাগডেমরা ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাতলার মানিক ঘোষ ও সুমন ঘোষের বাড়িতে দুধ তৈরির ভেজাল কারখানার সন্ধান পায়। তারা ভেজাল দুধ তৈরি করে বিভিন্ন কোম্পানির কাছে বিক্রি করে আসছিল। এই তরল দুধ হাট-বাজারেও বিক্রি করা হয়। এদের জরিমানা করা হয়। সূত্র মতে, জেলার প্রায় প্রত্যেক উপজেলাতেই দুধ ভেজালকারী দল আছে। যারা ভেজাল দুধ তৈরি করে বাজারজাত করে আসছে, দুধ ভেজালকারীরা বিভিন্ন স্থানে আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে। পবিত্র রমজান মাসে দুধের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ভেজাল দুধ হাট-বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এই দুধ জ্বাল দিলে এতে দুধের সর পড়ে। ক্রেতাসাধারণ এই দুধ খাঁটি বলে বিশ্বাস করেন। দুধের এই সর বা ক্রিম আসলে সয়াবিন তেলের আবরণ। র্যাব ও পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, পবিত্র মাহে রমজান মাসে দুধসহ বিভিন্ন ভেজাল পণ্যবিরোধী অভিযান শুরু করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।