পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719832252](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শফিউল আলম : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ব্যস্ত সফর করছেন আজ শনিবার। সফরকালে তিনি সেনাবাহিনী এবং চিটাগাং চেম্বারের পৃথক দু’টি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদানের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি অবকাঠামো উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রী আজ চট্টগ্রামে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষ ৬টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর ব্যস্ত সফরসূচিকে ঘিরে চট্টগ্রাম মহানগরীতে সাজ সাজ রব পড়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী নগরীর যেসব সড়ক ও মোড় অতিক্রম করবেন সেখানে ইতোমধ্যে বিলবোর্ড, ব্যানারসহ যাবতীয় জঞ্জালমুক্ত করে পরিপাটি ও বর্ণাঢ্য সাজে সাজানো হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে রাজধানী ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার যোগে চট্টগ্রামে যাবেন। এরপর চট্টগ্রাম সেনানিবাসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেবেন। বেলা ২টায় চট্টগ্রাম সেনানিবাসের ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টারের (ইবিআরসি) পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি যোগ
দেবেন। প্রধানমন্ত্রী বিকেল ৩টার দিকে একে একে চট্টগ্রামের কয়েকটি সম্পন্ন হওয়া উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন ও নতুন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। তিনি বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে নগরীর আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকায় প্রায় ২শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে চিটাগাং চেম্বারের উদ্যোগে নির্মিত দেশের প্রথম ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারÑডব্লিউটিসি (বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র) উদ্বোধন এবং চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির শতবর্ষ পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করবেন। এরপর বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকায় ফিরে যাওয়ার সূচি রয়েছে।
এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চট্টগ্রাম সফরসূচির উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে তিনি চট্টগ্রামে ৬টি প্রকল্প উদ্বোধন করছেন। যা চট্টগ্রামের বিনিয়োগ, শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান, যোগাযোগ, পর্যটনের বিকাশ ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় বিশেষত ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে বন্দরনগরীর বিরাট অংশকে সুরক্ষায় স্থায়ী অবকাঠামো হিসেবে গুরুত্ব বহন করে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ৬টি প্রকল্পের মধ্যে ৩টি প্রকল্পের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। ২টি নির্মাণাধীন প্রকল্প উদ্বোধন করা হবে। আর একটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী আজ ৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত কদমতলী ফ্লাইওভার, ৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নগরীর উত্তর পাশের অক্সিজেন থেকে কুয়াইশ পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সংযোগ সড়ক ‘বঙ্গবন্ধু এভিনিউ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশে সর্ববৃহৎ ম্যুরাল উদ্বোধন করবেন। এছাড়া তিনি ১ হাজার ৭শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে নগরীর দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তের পতেঙ্গা থেকে সাগরিকা বিভাগীয় স্টেডিয়ামের কাছাকাছি পর্যন্ত ১৭.১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৬০ ফুট চওড়া চট্টগ্রাম আউটার রিং রোড এবং ১৭২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ঢাকা ট্রাংক রোড ও বায়েজিদ সড়কের মধ্যকার লুপ সড়ক তথা বাইপাস সড়কের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করবেন। তিনি চট্টগ্রামের নতুন ও সর্ববৃহৎ প্রকল্প ২ হাজার ৯শ’ ৫৭ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষ নগরীর লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
অক্সিজেন-কুয়াইশ সংযোগ সড়ক ‘বঙ্গবন্ধু এভিনিউ’র সাথে সিডিএ’র উদ্যোগে কুয়াইশ পয়েন্টে নির্মিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি সংবলিত ৪৭ ফুট উঁচু ম্যুরাল। এটি দেশে বঙ্গবন্ধুর এ যাবত সর্বোচ্চ ম্যুরাল বা প্রতিকৃতি। মার্বেল পাথর দিয়ে ত্রিকোনাকার করে নজরকাড়া ম্যুরালটি তৈরি হয়েছে। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ছয় দফা ঘোষণা, বঙ্গবন্ধুর পক্ষে মহান একাত্তরের মুক্তিসংগ্রামে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠসহ যুগে যুগে আন্দোলন সংগ্রামের সূতিকাগার হিসেবে চট্টগ্রামের খ্যাতি রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুর প্রতি চাটগাঁবাসীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে চট্টগ্রামে নির্মিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এবং বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।