পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ত্যাগের মহিমা, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবের আমেজে গত সোমবার সারাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ঈদের নামাজ ও পশু কোরবানির মধ্যদিয়ে পালন করেন তাদের অন্যতম প্রধান এই ধর্মীয় উৎসব। ঈদের খুৎবাহ পূর্ব বয়ানে মসজিদের ইমাম-খতীবরা কোরবানির ওপর গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। তারা কোরবানির বর্জ্য দ্রুত পরিষ্কার করাও ওপরও তাগিদ দেন।
হযরত ইব্রাহিম (আ.)-এর আত্মত্যাগ ও অনুপম আদর্শের প্রতীকী নিদর্শন হিসেবে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বছর আগে থেকে শুরু হয় কোরবানির এ প্রচলন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নির্দেশে হযরত ইব্রাহিম (আ.) তার প্রাণপ্রিয় পুত্র হযরত ইসমাইল (আ.) কোরবানি করতে উদ্যত হয়েছিলেন। অনন্য এ ঘটনার স্মরণেই ঈদুল আজহায় কোরবানির প্রচলন। মহান আল্লাহপাকের প্রতি আনুগত্য এবং তাঁরই রাহে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের এ ঐতিহাসিক ঘটনার ধারাবাহিকতায় মুসলিম বিশ্বে কোরবানি ও ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়ে আসছে।
সকালে ঈদের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায়ের জন্য মুসল্লিরা স্থানীয় ঈদগাহ ও মসজিদে সমবেত হন। ঈদগাহ ও মসজিদে মসজিদে ঈদের নামাজে মুসল্লিদের ঢল নামে। মসজিদ ও ঈদগাহে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় মুসল্লিদের রাস্তার উপর নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে। ধনী-গরিবের ভেদাভেদ ভুলে সবাই এক কাতারে দাঁড়িয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে নিজের পাপমোচন এবং পরিবার-পরিজন, দেশ, জাতির কল্যাণ সুখ-শান্তি, ডেঙ্গুর গজব থেকে রক্ষা, বন্যার্ত অসহায় মানুষের দুর্ভোগ লাঘব এবং মুসলিম উম্মার সমৃদ্ধি কামনা করে আল্লাহর দরবারে মোনাজাতে অংশ নেন মুসল্লিরা।
ঢাকায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় হাইকোর্টের পাশে জাতীয় ঈদগাহে। সকাল আটটায় জামাত শুরু হয়। প্রেসিডেন্ট মো: আবদুল হামিদ, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিমকোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, সিনিয়র রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ সর্বস্তরের লাখো মানুষ উৎসব আমেজে সেখানে নামাজ আদায় করেন।
নামাজ শেষে প্রেসিডেন্ট উপস্থিত সবার সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাতের ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান। নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। জাতীয় ঈদগাহে মুসল্লিদের জন্য ওযু, খাবার পানি ও মোবাইল টয়লেটেরও ব্যবস্থা ছিল। জাতীয় ঈদগাহে সুষ্ঠুভাবে ঈদ জামাত অনুষ্ঠানে নেয়া হয় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ঈদগাহে সকল প্রবেশ পথ এবং ভিভিআইপি ও ভিআইপিদের নামাজের স্থানসহ ঈদগাহ মাঠের গোটা প্যান্ডেলে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। প্রধান এ জামাতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাদা পোশাকে র্যাব এবং পুলিশ সদস্যরা ঈদগাহ ময়দানে সার্বক্ষণিক তৎপর ছিলেন।
ঈদগাহ ছাড়াও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পাঁচটি ঈদের জামাত হয়। জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের উদ্যোগে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, জাতীয় সংসদের ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি তাজুল ইসলাম, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, জাতীয় সংসদের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো: মুজিবুল হক, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবর্গ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, সংসদ সচিবালয়ের কর্মচারিবৃন্দ এবং এলাকার সাধারণ মানুষ ঈদেও নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে দেশের সমৃদ্ধি ও দেশবাসির মঙ্গল কামনা করেছেন।
রাজধানীর মহাখালীস্থ মসজিদে গাউছুল আজমে প্রতিবারের মত এবারও চারটি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এবারও ঈদ জামাতে এ মসজিদে মুসল্লিদের ঢল নামে। মসজিদের কানায় কানায় তিল ধরার ঠাঁই ছিল না। অনেকেই রাস্তার উপর নামাজ আদায় করেন। সকাল সাড়ে ৭টায় প্রথম জামাতে মসজিদে গাউছুল আজমের পেশ ইমাম মাওলানা মো. নূরুল হক এতে ইমামতি করবেন। সকাল সাড়ে ৮টার জামাতে ইমামতি করবেন মসজিদের খতিব আলহাজ মাওলানা কবি রুহুল আমীন খান। সকাল সাড়ে ৯টার জামাতে ইমামতি করবেন ইমাম হাফেজ মাওলানা মো. মিজানুর রহমান ও সকাল সোয়া ১০টার জামাতে ইমামতি করবেন ভুইঘর দারুচ্ছুন্নাহ ফাযিল মাদরাসা প্রিন্সিপাল মাওলানা মো: খালিদ ছাইফুল্লাহ। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও মহিলাদের নামাজের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা ছিল। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগেও বিভিন্ন ঈদগাহ ও মাঠে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত হয় কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায়।
তথ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম রাজশাহীর আড়ানী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন। নামাজ শেষে প্রতিমন্ত্রী মুসল্লি ও সর্বস্তরের মানুষের সাথে কুশল বিনিময় করেন।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সোমবার প্রেসিডেন্ট মো: আবদুল হামিদ বঙ্গভবনে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সাংসদ, বিদেশি কূটনীতিক, রাজনৈতিক নেতা, বেসামারিক ও সামরিক কর্মকর্তা, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিক্ষকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশ নেন।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে রোববার থেকে তিন দিনের সরকারি ছুটি শুরু হয়। ঈদের আনন্দ উপভোগের জন্য ঢাকা ছেড়ে অনেক মানুষ তাদের গ্রামের বাড়িতে চলে যাওয়ায় রাজধানীতে নেমে এসেছে নিরিবিলি ছিমছাম পরিবেশ। রাজপথ এখন যানজট ও কোলাহলমুক্ত। ঈদুল আজহার ছুটি শেষে গতকাল বুধবার সরকারি অফিস-আদালত খুলেছে। তবে ঈদের আমেজ এখনো কাটেনি।
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, বারো আউলিয়ার পুণ্যভূমি চট্টগ্রামে ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদুল আজহা উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়েছে। ঈদ জামাতগুলোতে মুসল্লিদের ঢল নামে। সিটি কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনায় নগরীর প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ ময়দানে।
প্রধান জামাতে ইমামতি করেন জমিয়তুল ফালাহ মসজিদেরব পেশ ইমাম মোহাম্মদ আহমুদুল হক। একই মাঠে সকাল পৌনে ৯টায় দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করেন জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলীয়া মাদরাসার প্রধান মোফাচ্ছির কাজী মাওলানা মোহাম্মদ ছালেকুর রহমান। নামাজের পর বিশেষ মোনাজাতে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করা হয়। সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক মেয়র বিএনপি নেতা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা প্রধান জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করেন।
যশোর ব্যুরো জানায়, যশোরে যখাযোগ্য মর্যাদায় ও ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে ঈদুল আযহা পালিত হয়। সুন্দর আবহাওয়ায় ঈদুল আযহার জামাত আদায় করতে পেরে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অঅল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করেন। যশোরে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে। বৃষ্টি হতে পারে এই আশঙ্কায় পৌরসভা থেকে পুরো ঈদগাহ ময়দানে ছাউনী দেওয়া হয়।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহীতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশের মধ্যদিয়ে উৎযাপিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল আজহা। সোমবার সকাল ৮টায় রাজশাহীতে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় হযরত শাহ মখদুম রূপোশ (র.) কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে। এই জামাতে নামাজ আদায় করেন, রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী সদর আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর-রহমান, জেলা প্রশাসক হামিদুল হক বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনুসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।
নোয়াখালী ব্যুরো জানায়, যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগম্ভীর্য পরিবেশে নোয়াখালীতে পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হয়েছে। সকালে ৭০৩০ মি. থেকে সকাল ৮-৩০ মিনিটের মধ্যে জেলার বিভিন্ন জামে মসজিদ ও ঈদগাঁহ ময়দানে ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। এবারের প্রধান প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় নোয়াখালী জেলা জামে মসজিদ, মাইজদী পৌর ঈদগাঁহ ময়দান, ল’ইয়ার্স কলোনী জামে মসজিদ, ওসমান মোক্তার জামে মসজিদ, সোনাপুর টুকু বকসী জামে মসজিদ, সোনাপুর হুযরত মাওলানা আবদুস সোবহান (বাড়ির হুজুর) জামে মসজিদ, সোনাপুর নতুন বাজার জামে মসজিদ, মাইজদী পৌর বাজার জামে মসজিদ।
স্টাফ রির্পোটার, কিশোরগঞ্জ থেকে জানান, দেশের ঐতিহ্যবাহী ঈদগাহ কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় শান্তিপ‚র্ণ পরিবেশে ১৯২তম পবিত্র ঈদুল আযহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত এই জামাতে ইমামতি করেন শহরের মারকাস মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা হিফজুর রহমান খান। ১৭৫০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ঈদগাহর ঐতিহ্য অনুসারে মুসুল্লিদের প্রস্তুতির জন্য জামাত শুরুর ১৫ মিনিট আগে তিনটি, ১০ মিনিট আগে দুইটি এবং ৫ মিনিট আগে ১ টি শটগানের গুলি ছোঁড়া হয়। জেলা প্রশাসক ছাড়া পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার), পৌরমেয়র মাহমুদ পারভেজ এবং ঈদগাহ কমিটির সদস্য সচিব কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল কাদির মিয়া মুসল্লিদের ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। জামাত শেষে মোনাজাতে ইমাম মাওলানা হিফজুর রহমান খান বিশ্ব মুসলিম উম্মার শান্তি ও সমৃদ্ধির পাশাপাশি বাংলাদেশের নিরাপত্তা, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। পাশাপাশি পশু কোরবানি কবুল করার জন্যও সৃষ্টিকর্তার প্রতি প্রার্থনা জানান।
কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা জানান, কুড়িগ্রাম সকাল সাড়ে ৮টায় প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে পুরাতন শহরের কেন্দ্রিয় ঈদগাহ মাঠে। এখানে ইমামতি করেন পুরাতন বাজারের কেন্দ্রিয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুহাম্মদ ইউসুফ। এরপর সকাল পৌনে ৯টায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে শহরের কালেক্টরেট ইদগাহ ময়দানে। ইমামতি করেন কামিল এমএ মাদরাসার অধ্যক্ষ মুহা. নুর বখত।
পাবনা থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, পাবনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শহরের ঈদগাহ ও মসজিদসহ ৩৭টি স্থানে পবিত্র ঈদুল আযহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
গফরগাঁও উপজেলা সংবাদদাতা জানান, গফরগাঁও উপজেলায় বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হয়েছে । উপজেলার প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে ঈমামবাড়ি ঈদগাহ মাঠে সকাল ৯টা । এ ছাড়া রোস্তম আলী গোলন্দাজ হাই স্কুল মাঠে সকাল ৯টা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।