ছালাহউদ্দিন আরব আমিরাত থেকে : খাদ্যপণ্য অনুৎপাদনশীল দেশ আরব আমিরাত। কারণ মরুভূমির দেশ। তবে ছিটে ফোটা কিছু উৎপাদন হয় কিছু কিছু এলাকায়, তাও প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগণ্য। ফলে দেশটিতে চাহিদা পূরণে খাদ্যপণ্য আমদানি করতে হয় ভারত, চায়না, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, থাইল্যান্ড, নেপাল ও বারমাসহ উৎপাদনশীল অন্যান্য দেশ থেকে। তারপরও খাদ্যপণ্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি নেই আরব আমিরাতে। সারা বছরই মূল্য থাকে সীমিত। এরপরও পবিত্র মাহে রমজানের বিশেষ সম্মানে বিশেষ বিশেষ সুবিধা দেয়ার জন্য যেন প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা। এতে পিছিয়ে নেই প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরাও। দেশটিতে অন্যান্য দেশের ব্যবসায়ীদের মতো তাদের অনেকেই রমজানের এক সপ্তাহ আগে থেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের দোকানগুলোতে দিয়েছেন বিশেষ মূল্য ছাড়। এ মর্মে অধিকাংশ দোকান বা সুপার মার্কেটে লাগিয়ে দেয়া হয়েছে সাইন বোর্ড, ব্যানার ও পোস্টার। আবার শুক্রবারে জুমার নামাজ শেষে মুসল্লিরা যাওয়ার সময়ও এ রকম পোস্টার বিতরণ করতে দেখা যায়। এ যেন সিয়াম সাধনায় লিপ্ত সংযমী মানুষদের প্রতি ব্যবসায়ীদের অপার শ্রদ্ধাবোধের বহিঃপ্রকাশ।
অথচ বাংলাদেশে বছরের বিশেষ বিশেষ সময় ছাড়াও যেন সারাবছর ব্যবসায়ীরা অপেক্ষায় থাকেন এ মাসটির জন্য। আর এখানে মাহে রমজানেই নয় সারাবছরই বাজার মনিটরিং করতেও তেমন প্রয়োজন হয় না প্রশাসনের লোকদের। সরকারি আইনের প্রতি সকলেরই রয়েছে অপার শ্রদ্ধাবোধ।