Inqilab Logo

বুধবার, ০৫ জুন ২০২৪, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কমছে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৩

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০২ এএম

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন গতকাল ৯ আগস্ট এসিড মশা নিধনের ওষুধ ছিঁটানো শুরু করেছে। আজ ১০ আগস্ট ঢাকা দক্ষিণ সিটি ওষুধ ছিঁটানোর কার্যক্রম শুরু করবে। কিন্তু দুই মেয়রের ওষুধ ছিঁটানোর আগেই রাজধানীতে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব কিছুটা কমে গেছে। গতকাল রাজধানী ও বাইরের জেলাগুলোর হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তির সংখ্যা বৃদ্ধির গতি কমেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দেয়া তথ্য অনুযায়ী গতকাল (৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ৯ আগস্ট শুক্রবার সকাল ৮টা) সারা দেশে ২ হাজার ২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তার আগের ২৪ ঘণ্টায় সার দেশে ২ হাজার ৩২৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হন। তারও আগের ২৪ ঘণ্টায় এই সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৪২৮ জন। আগের দিনের চেয়ে হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হতে আসার সংখ্যা ৫ শতাংশ কমেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে ডেঙ্গু পরিস্থিতির ক্রমান্বয়ে উন্নতি হচ্ছে।

তবে গতকাল ঢাকায় দুইজন এবং ফরিদপুরে একজন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ৩২ বছর বয়সী লিপি আক্তার। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে প্রাণ হারান ১০ বছর বয়সের রিফাত। বরিশালে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান বরগুনা রাইফেলস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ৫০ বছর বয়সী মজিবর রহমান মোল্লা।

সূত্র জানায়, গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৯৪৭ জন। আর ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ৫৫ জন ডেঙ্গু রোগী। তার আগের ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হন মোট ১ হাজার ১৫৯ জন। ঢাকার বাইরের জেলাগুলোর হাসপাতালে ভর্তি হন ১ হাজার ১৬৭ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বছরের শুরু থেকে গতকাল পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৬৬৮ জন এসিড মশায় আক্রান্ত হয়ে ডেঙ্গু রোগ নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হন।

শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মোট ৮ হাজার ৭৬৩ জন ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এর মধ্যে ঢাকার ৪১টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ৫ হাজার ৪৬ জন। বাকি জেলাগুলোর বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ৩ হাজার ৬৮৭ জন। সরকারি হিসেবে চলতি বছর এপ্রিলে ৫৮ জন, মে মাসে ১৯৩ জন, জুনে ১৮৮৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। জুলাই মাসে তা এক লাফে ১৬ হাজার ২৫৩ জনে পৌঁছায়। আর আগস্টের প্রথম আট দিনেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৮ হাজার ২০৭ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়লেও চিকিৎসা নিয়ে রোগমুক্ত হয়ে বাড়ি ফেরা মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তদের মধ্যে ৭৫ শতাংশ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগের জেলাগুলোতেই সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল ছেড়ে গেছেন। এসব জেলায় ভর্তি হয়েছেন মোট ২৩৮ জন। আগের দিন ২৮৩ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছিল।

এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ২২৩ জন, খুলনা বিভাগে ১৪৯ জন, বরিশাল বিভাগে ১৬৭ জন, খুলনা বিভাগে ১৪৯ জন, রাজশাহী বিভাগে ১০৪ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৭০ জন, রংপুর বিভাগে ৭৫ জন এবং সিলেট বিভাগে ২৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন।

ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও আতঙ্ক কমেনি। কারণ ডেঙ্গু রোগের বাহক মশা এডিস এজিপ্টি প্রধানত শহরে পাওয়া গেলেও মানুষের ভ্রমণসঙ্গী হয়ে যানবাহনে করে তা পৌঁছে যাচ্ছে সারা দেশে। ফলে কোরবানির ঈদের ছুটিতে লাখ লাখ মানুষ গ্রামে গেছেন। অনেকেই এখনো যাচ্ছেন ঈদ করতে। ঢাকা থেকে গ্রামমুখী মানুষের ভ্রমণের মধ্য দিয়ে পরিস্থিতি বিপজ্জনক মাত্রায় পৌঁছাতে পারে বলে সতর্ক করে আসছেন বিশেষজ্ঞরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডেঙ্গু

২৭ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ