পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কোরবানির চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণে ব্যবহৃত লবণের পর্যাপ্ত মজুদ আছে বলে জানিয়েছেন লবণ মিল মালিকরা। দামও নাগালের মধ্যে রয়েছে। এ বাস্তবতা স্বীকার করছেন চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণকারীরা। তবে তারা এও আশঙ্কা করছেন, ঈদের একদিন বা দুই দিন আগে লবণের কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হতে পারে।
কাঁচা লবণের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে জানিয়ে বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতির সভাপতি নূরুল কবির বলেন, বর্তমানে দামও অন্যান্যবারের তুলনায় কম রয়েছে। তিনি বলেন, কোরবানির ঈদের সময় লবণের সংকট তৈরি হবে না।
কবির বলেন, চলতি সপ্তাহেও লবণের দাম কমেছে। গত সপ্তাহে ৭৫ কেজি ওজনের লবণের বস্তা ৬৩০ থেকে ৬৭০ টাকায় বিক্রি হতো। এ সপ্তাহে এর দাম কমে দাঁড়িয়েছে ৬০০ থেকে ৬৩০ টাকা।
তিনি জানান, কোরবানির সময় দেশে এক লাখ টনের মতো লবণের প্রয়োজন হয়। সব মিল-কারখানায় পর্যাপ্ত পরিমাণ লবণ মজুদ রয়েছে। এদিকে, বাংলাদেশ টেনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি ইলয়াছুর রহমান বাবুল বলেন, পর্যাপ্ত লবণ মজুদ আছে। দামও নাগালের মধ্যে। তবে এবার অনেক ব্যবসায়ী চামড়া সংগ্রহ করতে নাও পারেন।
তিনি বলেন, বছরের অন্যান্য সময় ২০ ফুট চামড়া তারা ৩০০-৪০০ টাকায় কেনেন। কিন্ত এবার বাণিজ্যমন্ত্রণালয় যে রেট করে দিয়েছে, তাতে খরচ পড়বে ১২০০ টাকা। কিন্ত বিশ্ববাজারে এ দাম পাওয়া যায় না।
বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতা টিপু সুলতান বলেন, লবণের বাজার এখন পর্যন্ত স্থিতিশীল এবং পর্যপ্ত মজুদ আছে। দামও নাগালে মধ্যে রয়েছে। কিন্ত ঈদের একদিন বা দুই দিন আগে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা না হলে দাম বাড়বে না। তবে কৃত্রিম সংকট তৈরি হলে বাজার অস্থিতিশীল হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, দেশে দুই ধরনের লবণ পাওয়া যায়। দেশীয় এবং ইন্ডিয়ান। সবার প্রতি আমার পরামর্শ থাকবে আপনারা দেশি লবণ ব্যবহার করুন। এতে চামড়ার মান ভালো থাকে। ভারতীয় লবণে ইউরিয়া থাকায় চামড়ার রং ও মান নষ্ট করে ফেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।