Inqilab Logo

সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

‘বীর বাহাদুর’কে টক্কর দিচ্ছে ‘যুবরাজ’

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০১ এএম

কোরবানির পশু নিয়ে চলছে মহাকান্ড। রাজধানী ঢাকা তো বটেই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পশুর হাট মিরপুরের গাবতলী। সেই গাবতলীর কোরবানির পশুর হাটে দুই দিন আগেও হাটের রাজা ছিল পাবনার ঈশ্বরদী থেকে আগত ‘বীর বাহাদুর’। কিন্তু তাকে টক্কর দিতে গাবতলী পশুর হাটে ঝিনাইদহ থেকে চলে এসেছে ‘যুবরাজ’।

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে গাবতলী পশুর হাটে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু নিয়ে আসছেন বেপারীরা। একে একে আসছে বড় বড় গরু। গাবতলী হাটে দুই দিন আগেও সবচেয়ে বড় গরু ছিল ‘বীর বাহাদুর’। এই বীর বাহাদুরকে ঘিরে এত দিন ভিড় ছিল। কিন্তু তাকে টক্কর দিতে ঝিনাইদহের দুর্গাপুর থেকে এসেছে ‘যুবরাজ’। এখন জনতার ভিড় যুবরাজকে ঘিরে।

টেকনিক্যাল থেকে গিয়ে গাবতলী পশুর হাটে ঢুকতেই হাতের বাঁয়ে রাখা হয়েছে বীর বাহাদুরকে। তার ঠিক পূর্ব পাশে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ করছে যুবরাজকে।

গতকাল বুধবার সকালে ঝিনাইদহের দুর্গাপুরের আব্দুল্লাহ অ্যাগ্রো অ্যান্ড ডেইরি ফার্মের মালিক মোহাম্মদ শাহ আলম মিয়া যুবরাজ বিক্রি করতে গাবতলী পশুর হাটে এসেছেন। যুবরাজের সাথে এনেছেন রবি, সাহেব ও বাদশা নামের আরো তিনটি বৃহৎ আকৃতির গরু।
যুবরাজের নামকরণ প্রসঙ্গে মোহাম্মদ শাহ আলম মিয়া বলেন, ছোট বেলায় যখন ওকে কিনি তখন আমার ছেলে খুব শখ করে নাম দিয়েছিল ‘যুবরাজ’। সেই থেকেই ওকে যুবরাজ বলেই ডাকি।

দামের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ৩৮ মণ ওজনের যুবরাজের দাম চাওয়া হচ্ছে ৪০ লাখ টাকা। ইতোমধ্যে ২৭ লাখ টাকা দাম বলেছেন এক ক্রেতা। তিনি আরো জানান, যুবরাজকে দেড় বছর বয়সে পাশের গ্রাম থেকে ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকায় কিনে আনা হয়। অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের গরুটির বর্তমান বয়স ৩ বছর।

মোহাম্মদ শাহ আলম মিয়া আরো বলেন, আমার এলাকায় আমি এই গরু লালন-পালনের জন্য এমন উন্নতমানের ফার্ম করেছি যেটা আমার মনে হয় বাংলাদেশে আর একটিও নেই। কেনার পর থেকেই তাকে খুব যত্ম নিয়ে লালন-পালন করা হয়েছে। খুব পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখা হয়েছে। এছাড়া ৩৮ লাখ টাকা খরচ করে তৈরি করা ফার্মে প্রতিটি গরুর মাথা এবং পেছনের দিকে একটি করে ফ্যানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ফার্মে মোট ৯ জন রাখাল কাজ করে।

যুবরাজকে কি কি খাওয়ানো হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, যুবরাজের খাওয়ার ব্যাপারে খুব সতর্ক থেকেছি। ছোলা, গমের ভুসি, ভুট্টার ভুসি, খেসারি ডাল একসাথে মিক্স করে দিনে ২ বেলা খাওয়ানো হয়। প্রতি বেলায় ১৬ থেকে ১৮ কেজি খাবার খায়। এছাড়া ২ বেলায় ১ মণ করে ঘাস দেই। এর বাইরে কলা, কাঁঠাল, অ্যাঙ্কার, আখের গুড় ও গমের ভুসিসহ আরো অনেক পশুখাদ্য খাওয়ানো হয় ‘যুবরাজ’কে। এতে প্রতিদিন যুবরাজের জন্য ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা খরচ হয়।
যুবরাজকে মোটাতাজাকরণের ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো ওষুধ খাওয়ানো হয়নি। সম্পূর্ণ ওষুধমুক্ত গরু ‘যুবরাজ’।

এর আগে গত ৫ আগস্ট সোমবার পাবনার ঈশ্বরদী থেকে মোহাম্মদ সানজু ইসলাম ‘বীর বাহাদুর’ নামের বৃহৎ আকৃতির আরেকটি গরু গাবতলীর পশুর হাটে বিক্রির জন্য আনেন। তিনি জানান, প্রয় ৩৮ মণ ওজনের বীর বাহাদুরের দাম চাওয়া হচ্ছে ২৫ লাখ টাকা। তিনিও দাবি করেন বীর বাহাদুরের খাবারের পেছনে প্রতিদিন ১৫০০ থেকে ২০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। তবে গরুকে মোটাতাজাকরণ কোনো ইনজেকশন দেয়া হয়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঈদুল আজহা

৯ জুলাই, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ