পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গতবারের চেয়ে এবার কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়া কিনতে বেশি টাকা দিচ্ছে ব্যাংক। আগের ঋণ নবায়নসহ এবার প্রায় এক হাজার ৭৫০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংক সোনালী, অগ্রণী, জনতা ও রূপালী ব্যাংক। এর বাইরে বেসরকারি খাতের উত্তরা, ন্যাশনালসহ আরও কয়েকটি ব্যাংক চামড়া খাতে ঋণ দিচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে এর পরিমাণ জানা যায়নি। গত বছরে ব্যাংকগুলো ব্যবসায়ীদের কাঁচা চামড়া কিনতে ৬০১ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছিল।
ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীরা জানিয়েছেন, যারা গত বছরের ঋণের টাকা ফেরত দিয়েছেন, কেবল তাদেরই ঋণ দেওয়া হয়েছে। গত বছরের মতো এবারও প্রতিষ্ঠিত ট্যানারির মালিকরা ঋণ পাচ্ছেন।
জানা গেছে, নতুন-পুরনো প্রায় ২৪টি প্রতিষ্ঠান এ ঋণ পাচ্ছে। গতবছর ৪২টি ট্যানারি প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিয়েছিল ব্যাংকগুলো। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংক কাঁচা চামড়া কিনতে এবছর কোনও ঋণ দিচ্ছে না। বেসিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আলম বলেন, আমাদের ব্যাংকে চামড়া কেনার একজন গ্রাহক। তিনি আগের নেওয়া টাকা ফেরত দিতে পারেননি, এ কারণে আমরা এ বছর নতুন করে কাঁচা চামড়া কিনতে কোনও ঋণ দিচ্ছি না।
এবার পশুর চামড়া কিনতে সবচেয়ে বেশি ঋণ দিচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক। ব্যাংকটি আগের ঋণ নবায়নসহ প্রায় এক হাজার ৩০০ কোটি টাকার ঋণ দিচ্ছে। জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুছ ছালাম আজাদ বলেন, এবার কাঁচা চামড়া কিনতে নতুনভাবে ২০০ কোটি টাকার ঋণ দেওয়া হবে। এ ছাড়া ঋণ নবায়ন হবে আরও এক হাজার ১০০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে এক হাজার ৩০০ কোটি টাকার ঋণ দেওয়া হবে। নতুন-পুরনো ১০টি প্রতিষ্ঠানকে এই ঋণ দেওয়া হচ্ছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৫০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে রূপালী ব্যাংক। চারটি প্রতিষ্ঠানকে এই ঋণ দেওয়া হচ্ছে। রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতাউর রহমান প্রধান জানান, গতবার পশুর চামড়া কিনতে ১৭৫ কোটি টাকার মতো ঋণ দিয়েছিল রূপালী ব্যাংক। এবার চামড়া খাতে ২৫০ কোটি টাকার মতো ঋণ দেওয়া হবে। সোনালী ব্যাংক গতবারের মতো এবারও তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ৭০ কোটি টাকার ঋণ দিচ্ছে। এর মধ্যে আমিন ট্যানারিকে ২৫ কোটি, কালাম ব্রাদার্সকে ২০ কোটি ও ভুলুয়া ট্যানারিকে দেওয়া হচ্ছে ২৫ কোটি টাকার ঋণ।
জানা যায়, ঈদুল আজহায় আড়তদারদের মাধ্যমে প্রচুর চামড়া সংগ্রহ করেন ট্যানারি মালিকরা। ফলে তাদের বাড়তি অর্থের প্রয়োজন হয়। তাদের এ চাহিদা পূরণ করে ব্যাংকগুলো।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ নির্দেশনা অনুযায়ী কম সুদেই এসব ঋণ দেওয়া হয়। মাত্র সাত শতাংশ সুদে এই ঋণ নিয়ে কাঁচা চামড়া কেনেন ব্যবসায়ীরা। চামড়া ব্যবসায়ীরা জানান, বছরে যে পরিমাণ চামড়া সংগ্রহ করা হয়, তার অর্ধেকেরও বেশি আসে কোরবানির ঈদে। এ সময় সংগৃহীত চামড়ার মানও ভালো হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।