পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ডেঙ্গু জাতীয় দুর্যোগে রূপ নিয়েছে। এহেন জাতীয় দুর্যোগে প্রয়োজন ছিল ‘সমন্বিত জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায়’ সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও জনগণকে সম্পৃক্ত করা। সেই বাস্তব অবস্থা এখনো দৃশ্যমান নয়। বুধবার এক বিবৃতিতে ড. কামাল হোসেন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু রোগ যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে সমগ্র দেশবাসীর সঙ্গে আমরাও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন । দেশে এবং বিদেশে ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া ১ লক্ষ ৩ হাজার প্রতিবেদন, সংবাদ এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ ও প্রচারিত হয়েছে। জনগণকে আরো বেশি সচেতন করার লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারিভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।
ড. কামাল হোসেন বলেন, সরকারি স্বাস্থ্য বুলেটিনে বলা হয়েছিল, মে মাস থেকে ডেঙ্গুর বিস্তার ঘটবে এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নিলে পরবর্তী মাসগুলোতে তা ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে। সম্প্রতি গবেষণায় বলা হয়েছে ‘ঢাকা ইজ সিটিং অন এ ডেঙ্গু টাইমবোম্ব’। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে’। অথচ সরকারি তথ্যমতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বর্তমানে ৩০ হাজারের ঊর্ধ্বে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী এবং মেয়রদের দায়িত্ব ছিল তড়িৎ গতিতে পদক্ষেপ গ্রহণ। কিন্তু বাস্তবে তা দেখা যায়নি। বরং জনগণ লক্ষ্য করেছে ওষুধে ভেজাল, ক্রয়ে দুর্নীতি এবং ফগ মেশিন স্প্রে করার পদ্ধতিগত ত্রুটি। এমনকি ফগম্যানদের স্প্রে করার যথাযথ প্রশিক্ষণ নেই। ডেঙ্গুর ব্যাপকতায় রোগীদের জন্য রক্তের চাহিদা বেড়েছে, ব্লাড ব্যাংকগুলোতে সংকট দেখা দিয়েছে। ডেঙ্গু সনাক্তকরণের কিট ও চাহিদা মতো পাওয়া যায়নি। সমগ্র দেশে ডেঙ্গু রোগী ও ডেঙ্গু আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমি স্থায়ীভাবে দেশ থেকে ডেঙ্গু রোগের ভয়াবহতা নিরসনে অবিলম্বে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এবং কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।