পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চলতি ২০১৯-১৯২০ অর্থ বছরে ৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে পণ্য রপ্তানি ৪৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং সেবা রপ্তানি ৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১২ দশমিক ২৫ ভাগ এবং সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৩৪ দশমিক ১ ভাগ। গত ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে মোট রপ্তানি ছিল ৪৬ দশমিক ৮৭৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে পণ্য রপ্তানি ৩৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিপরীতে প্রকৃত রপ্তানি হয়েছে ৪০ দশমিক ৫৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৩ দশমিক ৯৪ ভাগ বেশি ছিল। অপরদিকে গত বছর সেবা রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এর বিপরীতে রপ্তানি হয়েছে ৬ দশমিক ৩৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রা থেকে ২৬ দশমিক ৭৭ ভাগ বেশি ছিল।
বুধবার (৭ আগস্ট) বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রীর পক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মফিজুল ইসলাম রপ্তানির এ লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেন।
সিনিয়র সচিব মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, রপ্তানির যে লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করা হয়েছে, তা কঠিন কিছু না। রপ্তানি কারকগণ আন্তরিক হলে অতিসহজেই এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব। তিনি বলেন, আমাদের রপ্তানি বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। গত বছর রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে তৈরী পোশাক খাতে ১১ দশমিক ৪৯ ভাগ, কৃষিপণ্য রপ্তানিতে ৩৪ দশমিক ৯২ ভাগ, প্লাষ্টিক পণ্য রপ্তানিতে ২১ দশমিক ৬৫ ভাগ, ফার্মাসিটিকেলস পণ্য রপ্তানিতে ২৫ দশমিক ৬০ ভাগ। পণ্য রপ্তানিতে গড় প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ দশমিক ৫৫ ভাগ।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) তপন কান্তি ঘোষ, অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) মো. শফিকুল ইসলাম, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান ফাতিমা ইয়াসমিন, ডবিøউটিও’র মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. কামাল হোসেন এবং বিভিন্ন সেক্টরের রপ্তানি কারকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।