পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক
ভারতের বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেত্রী সাধ্বী প্রাচি বলেছেন, ‘আমরা ভারতকে কংগ্রেসমুক্ত করেছি, এবার মুসলিমমুক্ত ভারত তৈরি করতে হবে। আর এজন্য আমরা কাজ করছি।’ গতকাল রুরকিতে ফের বিতর্কিত এ মন্তব্য করেন। সাধ্বী প্রাচি ভারতীয় চিত্র তারকা শাহরুখ খান এবং আমীর খানের সমালোচনা করে বলেন, দুটি ফিল্ম ফ্লপ হতেই শাহরুখের হিন্দুদের কথা মনে পড়েছে। এ রকমই আমীর খানের আসন্ন ফিল্মের সঙ্গে হওয়া উচিত। এরা ভারতের খেয়ে পাকিস্তানের গীত গায়। উত্তর প্রদেশে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন সম্পর্কে সাধ্বী প্রাচি বলেন, ‘বিজেপি যদি যোগী আদিত্যনাথকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে সামনে রাখে তাহলে বিজেপি ৩০০ আসন পাবে এবং উত্তর প্রদেশ অনাচার, অত্যাচারমুক্ত হবে। এর ফলে মুসলিমমুক্ত উত্তর প্রদেশ হবে এবং ‘উত্তম প্রদেশ’ তৈরি হবে।’
গত বছর ফেব্রুয়ারিতে উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁতে এক সভায় সাধ্বী প্রাচী মুসলিমদের টার্গেট করে বিতর্কিত মন্তব্যে বলেন, ‘লাভ জিহাদের নামে আমাদের মেয়েদের ফাঁসানো হচ্ছে। তার পর এরাই ৩৫-৪০ জনের জন্ম দিচ্ছে।’ তার প্রশ্ন, পরিবার পরিকল্পনার দায় কেন শুধু হিন্দুদের উপরই বর্তাবে?
ভারতীয় ঐতিহ্য বাঁচিয়ে রাখতে প্রত্যেক হিন্দু মহিলার অন্তত চার সন্তানের জন্ম দেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এ নিয়ে বিতর্ক বাধলে জবাবে সাধ্বী প্রাচি বলেন, ‘আমি তো চার সন্তান জন্ম দেয়ার কথা বলেছিলাম, ৪০টি কুকুরছানা জন্ম দেয়ার কথা তো বলিনি।’
সাধ্বী প্রাচির আগে ‘ধর্ম জাগরণ মঞ্চ’ নামে উগ্র হিন্দুত্ববাদী এক সংগঠনের পক্ষ থেকে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে দাবি করা হয় ২০২১ সালের মধ্যে ভারতকে মুসলিম এবং খ্রিস্টান মুক্ত করা হবে। সংগঠনটির পশ্চিম উত্তর প্রদেশের প্রধান রাজ্যেশ্বর সিং বলেন, ‘মুসলিম এবং খ্রিস্টানদের ভারতে থাকার অধিকার নেই। ইসলাম বিদেশী ধর্ম। যদি ওরা মুসলমান হয়ে ভারতে থাকতে চায়, ওদের থাকতে দেয়া হবে না। তা সে বাংলাদেশী হোক বা অন্য কেউ হোক। এই দেশ মুসলমানদের সম্পত্তি নয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘ভারত মুসলিমদের জন্য নয়। তার পরামর্শ- ‘পাকিস্তান আছে, বাংলাদেশ আছে, আপনারা সেখানে গিয়ে থাকুন।’ এবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেত্রী সাধ্বী প্রাচি ভারতকে মুসলিমমুক্ত করার ডাক দিলেন এবং সেই লক্ষ্যে কাজ চলছে বলেও জানিয়েছেন। সূত্র : ওয়েবসাইট। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।