পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে কলমানির মাধ্যমে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ নেয়ার সুযোগ বাড়াল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজার (কলমানি মার্কেট) থেকে ঋণ গ্রহণের সীমা পুনঃনির্ধারণ করে নির্দেশনা জারি করেছে। নির্দেশনাটি দেশের সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে পরিশোধ করতে পারছে না বেশ কিছু ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান। ফলে টাকা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছে ব্যাংকগুলো। ইতোমধ্যে টাকা ফেরত পেতে বাংলাদেশ ব্যাংকের দ্বারস্থ হয়েছে কয়েকটি ব্যাংক।
কিন্তু এর সঠিক সমাধান না দিয়ে নতুন করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও বেশি টাকা দেয়ার নিয়ম জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কলমানি থেকে টাকা নেয়ার নীতিমালা সংশোধন করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ইক্যুয়িটির ৪০ শতাংশ পর্যন্ত টাকা ধার নিতে পারবে। আগে পারত সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ।
জনগণ ও ব্যাংকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেছে পিপলস লিজিংসহ ৫টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে পিপলস লিজিং বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অন্যদিকে কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে টাকা রেখে তা আর ফেরত পায়নি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো। জাতীয় সংসদে প্রকাশিত তালিকা অনুসারে, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ৮৩৭ কোটি টাকা, এফএএস ফাইন্যান্স ৫০০ কোটি টাকা, পিপলস লিজিং ২৭৫ কোটি টাকা, বিআইএফসি ২০১ কোটি টাকা ও প্রাইম ফ্যাইন্যান্স বিভিন্ন ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান থেকে ২০৭ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আর ফেরত দিচ্ছে না।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অনিয়ম প্রকাশিত হওয়ার ফলে সাধারণ গ্রাহকরা তাদের আমানত তুলে নিতে শুরু করেছেন। এতে অর্থ সংকট চরম রূপ ধারণ করেছে। অর্থ সংকট কাটাতে কয়েকদিন আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এমডি। তারা এ সংকট কাটাতে তারল্য সহযোগিতা চান।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ইক্যুইটির সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ হারে কলমানি মার্কেট থেকে ঋণগ্রহণ করতে পারবে। আগে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজার থেকে তাদের ইক্যুইটির বিপরীতে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ হারে ঋণ নিতে পারত। এর আগে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজার থেকে তাদের নিট সম্পদের সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নিতে পারত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।