পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল শুধু সবজি, সাদা সোনা চিংড়ি, রেণুপোনা, খেজুরের গুড় আর রজনীগন্ধা নয়, পশুসম্পদেও সমৃদ্ধ। পবিত্র ঈদুল আযহা সমাগত। চারিদিকে কুরবানির প্রস্তুতি। কুরবানির পশুহাটগুলো ক্রমেই জমে উঠছে। বরাবরই দেশের মোট চাহিদার একটা অংশের গরু ও ছাগলের জোগান হয় এ অঞ্চল থেকে। এবারো স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে কুরবানির পশুর চালান যাচ্ছে রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ দেশের বিভিন্নস্থানে। এ তথ্য প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের। সূত্র জানায়, ভারতীয় গরু ঢোকার ক্ষেত্রেও সবসময় এ অঞ্চলের সীমান্ত তুলনামূলক বেশি ব্যবহৃত হতো। কুরবানির পশুর বাজার ধরতে এবারো ব্যাপকহারে গরু ঢোকানোর পাঁয়তারা করছে ভারতীয়রা। কিন্তু বিজিবি তাদের অপতৎপরতা রুখে দেয়ায় গরু করিডোর দিয়ে এবার ভারতীয় গরু ঢুকছে না বললেই চলে। যশোর বিজিবি কমান্ডিং অফিসার কর্ণেল সেলিম রেজা মঙ্গলবার দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, গত এক সপ্তাহে একটি ভারতীয় গরুও বাংলাদেশে ঢোকেনি।
প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর ও খামারিদের সূত্রে জানা গেছে, ভারতীয় গরুর আধিক্য না থাকায় গরু লালন পালনকারি সাধারণ কৃষক ও ছোট-বড় খামারিদের মুখে হাসি ফুটেছে। কুরবানির পশুহাটে প্রচুর দেশি গরু উঠেছে। অভ্যন্তরিণ চালানও হচ্ছে। প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর খুলনা বিভাগীয় উপ পরিচালক মাসুদ আহমেদ খান গতকাল জানান, ভারতীয় গরু ঢুকছে না বললেই চলে। গোটা অঞ্চলে ৭ লাখ ৩১ হাজার ৮শ’৪৪টি কোরবানির পশু প্রস্তুত আছে। মোট ১শ’৭১টি স্থায়ী হাটে ১শ’১৯টি মেডিক্যাল টিম চিকিৎসা কাজে নিয়োজিত রয়েছে। তিনি খামারিদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ভারতীয় গরু না আসায় খামারিরা খুব খুশি। ইতোমধ্যেই কুরবানির পশুহাটগুলোতে দেশি গরুর সরবরাহ সন্তোষজনক। দেশি গরুর চাহিদাও বেশি। প্রায় সব ক্রেতাই হাটে গিয়ে দেশি গরু খোঁজ করছেন। দেশি গরুর গোশতে আঁশ কম, স্বাদও বেশি। চামড়াও সমৃদ্ধ। যার কারণে বাংলাদেশের গরু ও ছাগলের চামড়া বিদেশের বাজারে ব্যাপক চাহিদা।
সুত্র জানায়, যশোর, খুলনা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০ জেলায় কুরবানির জন্য প্রস্তুত হৃষ্টপুষ্ট গরু ও ছাগলের বাইরে রয়েছে অসংখ্য বয়স্ক গাভী, অনুর্বর ও দুর্বল, বকনা বাছুর এবং ভেড়া ও মহিষ। সীমান্ত সূত্র জানায়, বেনাপোলের নাভারণ, শার্শার পুটখালী, দৌলতপুর, সাতক্ষীরার সোনাবাড়িয়া, ভাদিয়ালি, রাজাপুর ও আবাদেরহাটসহ করিডোর দিয়ে গরু ঢোকানোর চেষ্টা করছে ভারতীয়রা। সূত্রমতে, অসাধু গরু ব্যবসায়ী, চোরাচালানি, সীমান্ত ঘাট এবং খাটাল মালিকদের যোগসাজসে কুরবানিকে সামনে রেখে ভারত থেকে গরু আনার ব্যবস্থা হয়। প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করা হলে দেশে পশুপালন আরো বৃদ্ধি পাবে। তাতে দেশের চাহিদা পূরণ করার পর বিদেশে গোশত রফতানি করা সম্ভব হবে।
যশোর, খুলনা, ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়ার কয়েকজন খামারি জানালেন, আমরা কয়েকবছর জোর দিয়েছি গরু ও ছাগল পালনে। শুধু কুরবানি উপলক্ষে নয়, সারা বছর নিয়মিত হাটে প্রচুর দেশি গরু ও ছাগল ওঠে। এ অঞ্চল থেকে অন্যান্য সময়ও বিভিন্নস্থানে চালান হয় কমবেশি। তাদের কথা জরুরিভাবে গরু করিডোরগুলো বন্ধের ঘোষণা দেয়া উচিত। গরু করিডোর দিয়ে ভারতীয় গরু আসার কারণে ঘাট মালিক, খাটাল মালিক ও সিন্ডিকেট এবং অবৈধ আয়কারি প্রভাবশালীরা লাভবান হয়ে থাকে। সরকার নামকাওয়াস্তে রাজস্ব পায়। কিন্তু দেশের ও দশের ক্ষতি ছাড়া কোন লাভ হয় না।
এদিকে, দক্ষিণ-পশ্চিমের গ্রামাঞ্চলের হাটগুলোতে ক্রমেই দেশি পশু আমদানি বাড়ছে। পশু হাটের বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে জোরদার ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জেলায় জেলায় আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একইসাথে পশুহাটে যাতে কোনরূপ চাঁদাবাজি না হয় সেদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর দৃষ্টি দিয়েছে। রাজধানীতে আগেভাগেই পশুর হাট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।