চট্টগ্রাম ব্যুরো : পূবালী বায়ুর সাথে পশ্চিমা বায়ু মিলিত হওয়ায় এবং লঘুচাপের বর্ধিতাংশের সক্রিয় প্রভাবে ঢাকাসহ দেশের অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টিপাত হয়েছে।
সেই সাথে মাহে রমজানের প্রথম দিনে গতকাল (মঙ্গলবার) প্রায় দেশব্যাপী বিরাজ করে শীতল ও স্বস্তিকর আবহাওয়া। হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাতের ফলে ভ্যাপসা গরম কেটে গেছে। রোজাদারগণ রহমতের বৃষ্টির জন্য আল্লাহর শোকরিয়া আদায় করেছেন।
গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে সিলেটে ১০১ মিলিমিটার। এ সময় ঢাকায় ২০, ময়মনসিংহে ৮৬, চট্টগ্রামে ১৬, যশোরে ৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ সময় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৩৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ ও সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৩২.৯ ও ২৭.৮ ডিগ্রি সে., চট্টগ্রামে ৩৪ ও ২৫.৩ ডিগ্রি সে.।
এদিকে আজ (বুধবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের দক্ষিণাংশ এবং তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর হয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় খুলনা, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই সাথে বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। বর্ধিত ৫ দিনে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে।