পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : টানা ১০ মাস কারাভোগের পর গতকাল (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা। তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার ইনকিলাবকে জানান, সবকটি মামলায় তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। এসব কাগজপত্র কারাগারে পাঠানোর পর তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। কথিত জঙ্গি সংগঠনকে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়ার অভিযোগে বিএনপি সরকারের সাবেক হুইপ সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের মেয়ে ফারজানাকে ২০১৫ সালের ১৮ আগস্ট ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছিল র্যাব। এ সময় তার দুই জুনিয়র আইনজীবী হাসানুজ্জামান লিটন ও মাহফুজ চৌধুরী বাপনকে গ্রেফতার করা হয়। লিটন সুপ্রিম কোর্টে ও মাহফুজ চৌধুরী বাপন ঢাকা জজ কোর্টে কর্মরত। পরে বাঁশখালী ও হাটহাজারী থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের দুটি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
শাকিলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার জানান, দুই মামলায় গত বছরের ২৮ নভেম্বর বিচারিক আদালতে শাকিলার জামিন নামঞ্জুর হয়। ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করা হলে পরদিন প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত রুল দেন। দুই মামলায় শাকিলা ফারজানাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। দুই সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের এর জবাব দিতে বলা হয়।
ওই রুলের ওপর চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারী শুনানি শেষে আদালত ২২ ফেব্রুয়ারী শাকিলাকে জামিন দেন। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করে। ৫ জানুয়ারি আপিল বিভাগে লিভ টু আপিলের শুনানি হয়। ৬ জুন আপিল বিভাগ লিভ টু আপিল খারিজ করে শাকিলার জামিন বহালের আদেশ দেন। সন্ত্রাস দমন আইনে হাটহাজারী থানার মামলায় আইনজীবী লিটন ও বাপন গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর জামিন পান। এর আগে বাঁশখালী থানার মামলায়ও জামিন পান ওই দুই আইনজীবী। ১৫ ডিসেম্বর তারা জামিনে মুক্তি পান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।