Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পোশাক সংগ্রহ স্থগিত করেছে প্রাইমার্ক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ আগস্ট, ২০১৯, ৬:৩৫ পিএম

আইরিশ খ্যাতনামা পোশাক ব্র্যান্ড প্রাইমার্ক বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানা থেকে পণ্য সংগ্রহ স্থগিত করেছে। সম্প্রতি ফ্যাশন বিষয়ক সংবাদ মাধ্যম জাস্ট-স্টাইলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই কারখানাগুলো অন্যায্যভাবে শ্রমিকদের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে প্রাইমার্ক। তবে দেশের পোশাক খাত নেতৃবৃন্দ বলছেন, প্রাইমার্ক কোনো আলোচনা ছাড়াই একতরফাভাবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বছরের শুরুর দিকে লেবার বিহাইন্ড দ্য ল্যাবেল নামে একটি সংগঠন একটি পিটিশনে অভিযোগ করে যে, প্রাইমার্কের পোশাক তৈরি করে বাংলাদেশে এমন কয়েকটি কারখানা থেকে মোট ৪২৭ জন শ্রমিক চাকরি হারিয়েছেন। এতে আরও বলা হয়, নিম্ন মজুরির বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করার পর ওই শ্রমিকদের চাকরি বাতিল করা হয়। এছাড়া ৩৮২ জন শ্রমিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন কারখানা মালিকরা। কিছু শ্রমিককে আবার কালো তালিকাভুক্ত করায় তারা অন্য কোথাও চাকরি পাচ্ছেন না বলে দাবি করে তারা।

প্রাইমার্ক কর্তৃপক্ষ এপ্রিলের দিকে জানায়, তারা এই অভিযোগ তদন্ত করবে এবং ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দেবে। সম্প্রতি এক ইমেইল বার্তায় প্রতিষ্ঠানটির একজন মুখপাত্র জানান, কোনো কারখানা তদন্তনাধীন থাকার মানে হলো সেগুলোতে নতুন কোনো অর্ডার দেওয়া হবে না। সুতরাং এই কারখানাসমূহে নতুন কোনো অর্ডার দেওয়া হবে না। পরবর্তীতে নিজেদের তদন্তে কিছু অনিয়ম ও কোড অব কনডাক্ট লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়ার কথাও জানিয়েছে প্রাইমার্ক।

তবে একটি শ্রমিককেও বেআইনিভাবে ছাঁটাই করা হয়নি বলে জানিয়েছে দেশের পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এর সভাপতি ড. রুবানা হক। তিনি বলেন, যদিও প্রাইমার্কের তদন্ত ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে। এবং তারা খুব কম সংখ্যক ফ্যাক্টরি থেকে পণ্য সরবরাহ স্থগিত করেছে। তবুও আমরা দাবি করবো প্রাইমার্ক একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিজিএমইএ বা আমাদের উদ্যোক্তাদের বক্তব্য না নিয়েই শুধু মাত্র একটি পিটিশনের ভিত্তিতে এত বড় একটি ব্র্যান্ডের এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হয়নি। একই কথা বলেন সংগঠনটির সাবেক সভাপতি ও ফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান। তিনি বলেন, বছরের শুরুতে বেতন-ভাতার দাবিতে শ্রমিক আন্দোলনের প্রেক্ষিতে একজন শ্রমিককে আন্তর্জাতিক শ্রম আদালতের নিয়মের বাইরে ছাঁটাই করা হয়নি। আমরা উদ্যোক্তারা নিরুপায় হয়ে আছি তাদের কাছে। আন্দোলনের নামে তারাই হিংস্রতা করে, কারখানা ভাংচুর করে আবার শাস্তি পাওয়ার বেলায় আমরা মালিকপক্ষই শাস্তি পাই। যদি প্রাইমার্ক এরকম কোনো সিদ্ধান্ত নিয়েও থাকে তা সম্পূর্ণরূপে একপাক্ষিক বলে আমি মনে করি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রাইমার্ক
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ