পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাবেক মন্ত্রী ও ‘তৃণমূল বিএনপি’ নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা এবং তার স্ত্রী অ্যাডভোকেট সিগমা হুদার বিরুদ্ধে চার্জশিট দিচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার কমিশন চার্জশিটটি অনুমোদন করেন। দুদকের সহকারি পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম শিঘ্রই এটি চার্জশিট আকারে আদালতে দাখিল করবেন বলে জানা গেছে। তিনিই মামলার তদন্ত করেন।
দুদক সূত্র জানায়, তদন্ত প্রতিবেদনে নাজমুল হুদা দম্পতির বিরুদ্ধে ফৌজদারি দন্ডবিধির ১৬১/১৬৫ (ক) ধারাসহ ১৯৪৭ সনের ২ নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগ ‘প্রমাণিত’ হয়েছে মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০০৮ সালের ১৮ জুন নাজমুল হুদা দম্পতির বিরুদ্ধে এ মামলা হয়। এজাহারে অ্যাডভোকেট সিগমা হুদাকে ‘সাপ্তাহিক খবরের অন্তরালে’ পত্রিকার মালিক উল্লেখ করা হয়। ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাকে উল্লেখ করা হয় সিগমা হুদার স্বামী হিসেবে। মামলায় বলা হয়, ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা এবং অ্যাভোকেট সিগমা হুদা স্বামী-স্ত্রী। তারা পরস্পর যোগসাজশ করে যমুনা সেতুর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য নিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘মার্গানেট ওয়ান লিঃ’র চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পরিচালকের কাছ থেকে উৎকোচ নিয়েছেন। ২০০৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন তারিখে চেকের মাধ্যমে তারা ৬ লাখ টাকা ঘুষ নেন। ওই সময় ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা যোগাযোগ মন্ত্রী এবং যমুনা বহুমুখি সেতু কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ছিলেন। খবরের অন্তরালে নামক প্রতিষ্ঠানটির মালিকও তিনি। ওই প্রতিষ্ঠানের একাউন্টে তিনি ঘুষ হিসেবে এ অর্থ নিয়েছেন। দায়িত্বে থেকে এই উৎকোচ গ্রহণ দন্ডবিধি’র ১৬১/১৬৫(ক) ধারা এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অপরাধ। দুদকের তৎকালিন সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ বেলাল হোসেন অভিযোগটি অনুসন্ধান করেন। পরে তিনিই বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় এ মামলা করেন। এর আগেও নাজমুল হুদা এবং সিগমা হুদার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক মামলা করে। ওই মামলায় গ্রেফতার হয়ে তারা কারাভোগও করেছেন।
উল্লেখ্য, বিএনপি সরকারের সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হন। এখন ‘তৃণমূল বিএনপি’ নামক একটি রাজনৈতিক দলের চেয়ারম্যান। এর আগে তিনি ‘বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট বা বিএনএফ এবং আরও পরে বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি বা বিএমপি নামে দুটি দল গঠন করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।