পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ব্যাংকিং চ্যানেলে বেড়েছে প্রবাসীদের আয় বা রেমিট্যান্স প্রবাহ। সদ্য সমাপ্ত জুলাই মাসে প্রবাসীরা ১৫৯ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২১ দশমিক ২০ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসে প্রবাসীরা ১৫৯ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। যা আগের মাস জুনে ছিল ১৩৬ কোটি ৮২ লাখ ডলার। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে ২২ কোটি ৯৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে বেশি এসেছে। ঈদ সামনে থাকায় রেমিট্যান্স বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঈদ উৎসবে মানুষের বাড়তি খরচ হয়। সামনে ঈদ, অনেকে কোরবানির পশু কিনবে তাই বেশি অর্থ পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে হুন্ডিতে রেমিট্যান্স আসা কমেছে। এসব কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।
প্রবাসীদের পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রা সবচেয়ে বেশি আহরিত হয়েছে বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে। এ ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ১১৮ কোটি ২৮ লাখ ডলার। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৭ কোটি ৭৭ লাখ, বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ২ কোটি ৩৬ লাখ এবং বিদেশি মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১ কোটি ৩৩ লাখ ডলার।
এদিকে একক ব্যাংক হিসেবে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের মাধ্যমে। এ ব্যাংকটির মাধ্যমে ৩০ কোটি ৭৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। রেমিট্যান্স আহরণে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড। এ ব্যাংকটির মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬ কোটি ৭১ লাখ মার্কিন ডলার। এ ছাড়া সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ কোটি ১২ লাখ ডলার, জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে ৭ কোটি ৭৯ লাখ ডলার।
রেমিট্যান্সের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সদ্য সমাপ্ত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ১ হাজার ৬৪২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ। এর আগে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৫৩১ কোটি ৬৯ লাখ মার্কিন ডলার। এ ছাড়া ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর পরিমাণ ছিল এক হাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ মার্কিন ডলার। সর্বশেষ ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ১ হাজার ৪৯৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিল প্রবাসীরা। যা তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।