পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : দীর্ঘদিনের নানা দুর্বলতা কাটিয়ে বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান সহায়তা ব্যবহারের সক্ষমতা বেড়েছে। বিগত বছরের ১০ মাসের হিসাবের তুলনায় এ বছরের ১০ মাসের হিসাবে এচিত্র ফুটে উঠেছে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী চলতি অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে বৈদেশিক সহায়তা ছাড় হয়েছে ২৬৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার। অর্থবছরের দশ মাসের এছাড় ২০১৪-১৫ অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার বেশি। গত অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে ছাড় হয়েছিল ২৩৮ কোটি ডলার। চলতি অর্থবছরের জন্য সরকারের দাতাদের কাছ থেকে ৩৬৬ কোটি ডলারের বৈদেশিক অর্থছাড়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত রয়েছে। সে হিসেবে বাকি দু’মাসে আরো প্রায় ৯৮ কোটি ডলার ছাড় করাতে হবে।
এদিকে এই সময়ে দাতাদের কাছ থেকে প্রতিশ্রæতিও বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে দাতাদেশ ও সংস্থাগুলোর কাছ থেকে সরকার ৪৩১ কোটি ৩৪ লাখ ডলারের প্রতিশ্রæতি আদায় করতে পেরেছে। এ প্রতিশ্রæতি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৫৬ কোটি ২৬ লাখ ডলার বেশি। গত অর্থবছরের একই সময়ের মধ্যে সরকার দাতাদের কাছ থেকে প্রতিশ্রæতি আদায় করতে পেরেছিল ২৭৫ কোটি ডলার। চলতি অর্থবছরের জন্য সরকার ৬ বিলিয়ন (৬০০ কোটি) ডলার প্রতিশ্রæতি আদায়ের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করে রেখেছে। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হলে অর্থবছরের বাকি দু’মাসে সরকারকে আরো ১৬৮ কোটি ৭০ লাখ ডলারের প্রতিশ্রæতি আদায় করতে হবে। ইআরডির কর্মকর্তাদের মতে, প্রতিশ্রæতি আদায়েও ইআরডি দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ প্রতিশ্রæতি আদায় করা অবশ্যই কৃতিত্বের। অর্থবছর শেষে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী প্রতিশ্রæতি আদায় করতে পারবেন বলে মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, চলতি মাসেই বিশ্বব্যাংক ও জাইকাসহ বেশ কিছু সংস্থার সঙ্গে চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। শিগ্গিরই আরো বেশ কিছু চুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। সব মিলিয়ে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী প্রতিশ্রæতি আদায়ে আত্মবিশ্বাসী তিনি।
কর্ণফুলী গ্যাসের অবৈধ ২৪টি সংযোগ বিচ্ছিন্ন
চট্টগ্রাম ব্যুরো : ঃ নগরীর দক্ষিণ হালিশহরের নারিকেল তলা কাজির গলি এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার কেজিডিসিএলের নেতৃত্বে ভিজিল্যান্স টিম নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে উল্লেখিত এলাকার জনৈক মোঃ আকতার কামালের ৬তলাবিশিষ্ট বিল্ডিংয়ে অবৈধ কার্যকলাপের কারণে ২৩টি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এছাড়া একই এলাকায় জনৈক মো ইলিয়াছ আবাসিক গ্যাস সংযোগ নিয়ে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করার দায়ে ১টি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষ জানায়, অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে সরকারী পাওনা অর্থ আদায়সহ গ্যাস আইন ২০১০-এর সংশ্লিষ্ট ধারায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে। অভিযানে কেজিডিসিএলের ব্যবস্থাপক (ভিজিল্যান্স) প্রকৌশলী হাসান সোহরাবসহ অন্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।