পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীতে যানজট নিত্যদিনের ঘটনা হলেও রোজার শুরুতে এ চিত্র আরো ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। রমজানের প্রথম দিনে পরিবারের সঙ্গে ইফতারি করার ইচ্ছে পূরণ করতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন নগরবাসি। সেহরি খেয়ে ঘুম থেকে বিলম্বে ওঠা এবং বৃষ্টির কারণে গতকাল সকালে রাস্তাঘাট কিছুটা ফাঁকা ছিলো। কিন্তু সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজট বাড়তে থাকে। বিশেষ করে দুপুরের পর থেকে ঢাকার অধিকাংশ সড়কেই বেড়ে যায় গাড়ির চাপ। গণপরিবহন সঙ্কটে লম্বা পথও অনেকে পাড়ি দিয়েছেন পায়ে হেঁটে। গাবতলি, টেকনিক্যাল মোড়, যাত্রাবাড়ি, মহাখালী, তেজগাঁও, বনানী, ফার্মগেইট, কারওয়ান বাজার, রামপুরা, মালিবাগ, মগবাজার, প্রগতি সরণিসহ প্রায় সব সড়কের দুই পাশেই দেখা গেছে তীব্র যানজট। বিভিন্নস্থানে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির সঙ্গে বৃষ্টি মানুষের কষ্ট আরও বাড়িয়ে দেয়। বনানীর কাকলী মোড়ে পাইপ বসানোর কাজ করছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। চার লেনের সড়কটির দুই লেন কিছুদিন ধরেই বন্ধ। এই মোড়ে থেমে থেমে চলছে গাড়ি। ফলে যানবাহনের লম্বা সারি গিয়ে ঠেকেছে মহাখালী ফ্লাইওভার পর্যন্ত। কাকলিতে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সদস্য বিকাশ চন্দ্র সরকার জানান, শুধু রোজার প্রথম দিন নয়, কয়েকদিন ধরেই এ সড়কটির একই অবস্থা। সরু রাস্তার কারণে গাড়ি স্বাভাবিকভাবে চলতে পারেনা। দুপুর সাড়ে ১২টায় সায়েদাবাদ থেকে রওনা দিয়ে বেলা ২টায় মহাখালী গিয়ে যানজটে আটকে পড়েন এক বাসযাত্রী। অপরদিকে মহাখালী থেকে কাকলী ২ মিনেটের রাস্তা পারি দিতে সময় লেগেছে আধাঘন্টার ওপরে এ অভিযোগ অপর এক বাস চালকের। দুপুরের পর থেকে তেজগাঁওয়ের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণির দুই পাশ স্থবির হয়ে ছিল। কাকলীর যানজটের প্রভাবে গাড়ির ঝটলা মহাখালী-নাবিস্কো হয়ে চলে যায় সাতরাস্তা পর্যন্ত। মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে গাড়ি বের হওয়ায় চাপ বেড়ে যায়। সাত রাস্তা এলাকায় একটি বাসে অনেকক্ষণ বসে থেকে বাধ্য হয়েই নেমে হাঁটা শুরু করেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী সোহেল রানা।
মগবাজার থেকে গাজীপুরগামী বলাকা পরিবহনের যাত্রী সাব্বিরের মন্তব্য যাতায়াতের এ কষ্ট আর সহ্য হয় না। খানাখন্দের কারণে যাত্রাবাড়ি মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের নিচের রাস্তায় সারাদিনই গাড়ির জট লেগে থাকে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর (ট্রাফিক) ডেমরা অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ সহকারি কমিশনার আলমগীর হোসেন। গুলশান থেকে মহাখালীমুখী রাস্তায় গাড়ির চলেছে ধীর গতিতে। একই অবস্থা রামপুরা থেকে কুড়িল বিশ্বরোড পর্যন্ত। প্রগতি স্মরণির বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, নতুন বাজার, শাহজাদপুর, উত্তর বাড্ডা পার হতে যাত্রীদের এক থেকে দেড় ঘণ্টা বসে থাকতে হচ্ছে। রমজানের প্রথম দিন অফিস ফেরত মানুষ একসঙ্গে বাসায় ফিরতে চাইছে। এছাড়া কয়েকটি সড়কে খোঁড়াখুড়ি এবং বৃষ্টির কারণে যানজট একটু বেশি ছিল বলে জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) খান মোহাম্মদ রেজোয়ান। তিনি আরো বলেন, যানজট নিয়ন্ত্রণে পুলিশ আন্তরিকভাবে তৎপর রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।