Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চাঁদাবাজ-মাস্তানদের ঠাঁই নেই কাওরান বাজারে

‘ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই পলিথিন পরিহার করুন’

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৫ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০১ এএম


বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগে কারওয়ানবাজারে প্রতি মাসে একটা করে খুন হতো। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তা বন্ধ হয়েছে। চাঁঁদাবাজিও বন্ধ করেছি। তবে স¤প্রতি এখানে চাঁদাবাজির কিছু কিছু খবর পাওয়া যাচ্ছে। আমি স্পষ্ট করে বলছি, চাঁদাবাজি করলে কারওয়ানবাজার ছেড়ে চলে যান। গতকাল রোববার দুপুরে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনবিরোধী সচেতনতামূলক সভা এবং পরিচ্ছন্নতা অভিযানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, কারওয়ানবাজারে মাস্তানি-চাঁঁদাবাজি হতে দেয়া হবে না। যেই চাঁদাবাজি করবেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বুড়িগঙ্গা নদীতে ৬-৭ ফুট শুধু পলিথিনের গার্বেজ। বিদেশ থেকে এক্সপার্ট আনা হচ্ছে। তবুও আমরা পুরোপুরি পারছি না। এর কারণ পলিথিন। ক্যান্সার, কিডনি রোগী কেন বাড়ছে? কারণ পলিথিন। মাছের ভেতরে পলিথিন ঢুকে গেছে। তিমি মাছ যখন ধরা পড়ে কিংবা উপকূলে চলে আসে তখন দেখা যায় পেটে পলিথিন আর পলিথিন। আমাদের বর্তমান সরকার পলিথিনের ব্যাপারে কঠোর পলিথিনবিরোধী আইন করেছে। কিন্তু কেউ আইন মানি না। আমরা এখন কঠোর হবো।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরের মূল সমস্যা আমরা গার্বেজ অপসারণ করতে পারছি না, ড্রেনগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, পানি নিষ্কাশন করা যাচ্ছে না। কারণ পলিথিন। পলিথিন যাতে আমরা ব্যবহার না করি সেজন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আমরা পলিথিন আর ব্যবহার করব না। পলিথিন যে ক্ষতি করে সেগুলো যদি বিবেচনায় নেই তাহলে কেউই পলিথিন ব্যবহার করতে পারে না।
সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, আগে পলিথিন ছিল না। চটের ব্যাগে বাজার করত মানুষ। সভ্যতার নামে পলিথিনের প্রসার ঘটে, যা সভ্যতার জন্যই ক্ষতিকর। কিন্তু এরপরও পলিথিন ব্যবহার না কমে বরং বেড়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই পলিথিন পরিহার করুন, পরিবেশবান্ধব বিকল্প ব্যবহার করুন। তাহলে পলিথিন চলবে না, উৎপাদনও হবে না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার বলেন, পলিথিনের বিচরণ সর্বত্র। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও পলিথিন পৌঁঁছে গেছে। এই পলিথিনের কারণে ড্রেনেজ সিস্টেম আজ অকার্যকর হয়ে পড়ছে। সভায় ব্যবসায়ীরা বলেন, ৫ হাজার টাকার ক্ষুদে ব্যবসায়ীকে পলিথিন বিক্রির দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করার ঘটনাও ঘটেছে। কিন্তু যেখানে উৎপাদন, যেখানে ডিলার ব্যবসা সেখানে আগে বন্ধ করতে হবে। তাহলে কারওয়ানবাজার কেন কোথাও খুচরা পলিথিন বিক্রি হবে না।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ‘ক্রেতা-বিক্রেতা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ