Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডিএসসিসি মেয়রের এ কী পরামর্শ!

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০১ এএম

ঢাকাসহ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়া ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিস মশার কামড় থেকে রক্ষা পেতে মসজিদের ইমামসহ সবাইকে লম্বা জামা-পায়জামা ও মোজা পরার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। গতকাল রোববার নগর ভবনে ডিএসসিসি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ পরামর্শ দেন। কোরবানি পশুর বর্জ্যরে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও ডেঙ্গু প্রতিরোধের লক্ষ্যে মসজিদের খতিব-ইমামদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা ও অ্যারোসল স্প্রে বিতরণে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এসময় সাঈদ খোকন বলেন, আপনারা লম্বা জামা-পায়জামা এবং মোজা পরতে পারেন। ইমাম সাহেবেরা এমন পরেন। একটু সচেতন হলে আমরা এ (ডেঙ্গু) থেকে মুক্তি পেতে পারি। মসজিদে নামাজের আগে অ্যারোসল স্প্রে করতে পারেন। সামান্য সচেতনতা আমাদের সবাইকে নিরাপদে রাখতে পারে।

সাঈদ খোকন বলেন, আল্লাহ তায়ালা মাফ করলে দ্রুত ডেঙ্গুমুক্ত শহর নিশ্চিত করতে পারব। আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটিকে ডেঙ্গুমুক্ত করতে পারব ইনশা আল্লাহ। এ কাজে ইমামরা গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করতে পারেন। তারা নিজ এলাকায় প্রতিটি মসজিদে ডেঙ্গু থেকে মুক্তির লক্ষ্যে দোয়া পাঠ করবেন। যেন এ শহর দ্রুত ডেঙ্গুমুক্ত হয়। কারণ আল্লাহ ধৈর্যশীল ও নামাজিদের পছন্দ করেন। আমরা ধৈর্য ধরব ও নামাজের সঙ্গে আল্লাহর দরবারে সাহায্য প্রার্থনা করব। নিশ্চয় তিনি আমাদের মাফ করবেন।

ডেঙ্গু রোগে নগরের মানুষ আক্রান্ত ও আতঙ্কিত উল্লেখ করে মেয়র বলেন, এটা প্রতিরোধে প্রয়োজন জনগণের সতর্কতা। আমরা সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এগিয়ে যাচ্ছি। শিগগির আমরা দেখতে পারব নতুন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কমে আসছে। মেয়র বলেন, চারদিকে যেমন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে তেমনি জনগণও যথেষ্ট সচেতন হয়েছে। এক মাস আগেও আমাদের জনগণের অনেকে ডেঙ্গু নিয়ে তেমন সচেতন ছিলেন না। এখন জনগণ যথেষ্ট সচেতন হয়েছেন। তাই এর প্রকোপ ধীরে ধীরে কমে আসছে। এটা সম্ভব হয়েছে আমাদের প্রচেষ্টা ও জনগণের সচেতনতার ফলে।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ডেঙ্গু থেকে শহরকে রক্ষা করতে আমাদের জনবল বাড়ানো হবে। আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডেঙ্গু সচেতনতা বাড়াতে কাজ করছি। প্রতিদিন আমরা অন্তত সাতটি বাড়ি করে দক্ষিণের প্রায় ৩৪৮০টি বাড়িতে লোক পাঠিয়ে ডেঙ্গুর লার্ভা নষ্ট করার কাজ করছি। ইতোমধ্যে হাজারো বাসা-বাড়ি থেকে ডেঙ্গু বা এডিস মশার লার্ভা নষ্ট করা হয়েছে। ডেঙ্গু রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ ও চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। গুরুতর অসুস্থ রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

কোরবানির ঈদে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের নির্দেশনা মানতে ইমামদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সাঈদ খোকন বলেন, পশু নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি দিতে হবে। কোরবানির পর বর্জ্য যথাযথ স্থানে ফেলে ব্লিচিং পাউডার ছিঁটিয়ে দিতে হবে। এর জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে ব্লিচিং পাউডার যথাসময়ে পৌঁছে যাবে। কোরবানির বর্জ্যে ডেঙ্গু যেন আবার জেঁকে বসতে না পারে সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।

সাঈদ খোকন বলেন, কোরবানির ঈদে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার একটি বিষয় থাকে। প্রতিবছর ঈদের আগে আমরা মসজিদের ইমামদের নিয়ে বসি। তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা করা হয়। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সবাইকে সচেতন করতে ইমামদের মসজিদে-মসজিদে খুতবার পর এক মিনিট বর্জ্য নিয়ে সচেতনতামূলক বয়ান দেয়ার আহ্বান জানান মেয়র। যে কোনো প্রয়োজনে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের হটলাইনে (০৯৬১১০০০৯৯৯) ফোন করার পরামর্শও দেন তিনি।

মতবিনিময় সভায় দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরিফ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা এয়ার কমোডর মোহাম্মদ জাহিদ হোসেনসহ সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা ও কর্পোরেশনভুক্ত প্রতিটি ওয়ার্ডের ইমামরা উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডেঙ্গু

২৭ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ