Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মিটারে চলছে না সিএনজি অটোরিকশা

প্রকাশের সময় : ৩০ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নূরুল ইসলাম : থামছে না সিএনজি অটোরিকশা চালকদের স্বেচ্ছাচারিতা। মিটার ছাড়াই চলা, অতিরিক্ত ভাড়া দাবি এবং যাত্রীর ইচ্ছানুযায়ী যেতে না চাওয়ায় হয়রানীর শিকার হচ্ছে রাজধানীর যাত্রীরা। বিআরটিএ’র দাবি সপ্তাহের পাঁচ কর্মদিবসেই অভিযান চলছে। স্বেচ্ছাচারিতার জন্য চালকদের শাস্তি দেয়া হচ্ছে। ডাম্পিংয়ে পাঠানো হচ্ছে অটোরিকশা। তারপরেও অটোরিকশার ভাড়া নিয়ে বিশৃঙ্খলা থামানো যাচ্ছে না। বিআরটিএ’র সচিব মুহাম্মাদ শওকত আলী জানান, মিটারে না যাওয়া ও নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে না চাওয়াসহ বিভিন্ন অপরাধে গত ২৫ জানুয়ারি বিআরটিএ’র ভ্রাম্যমাণ আদালত ২৮টি সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে ডাম্পিংয়ে পাঠান। একই সঙ্গে ১৯ জন চালককে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- দেন। পরের দিন ২৬ জানুয়ারি ২৬টি অটোরিকশা ডাম্পিং করা হয় এবং ৩২ জন চালককে দ- দেয়া হয়। এটি শুধু দুই দিনের হিসাব। প্রতিটি যানবাহনের অনিয়ম ধরার জন্য বিআরটিএ প্রতিদিনই পাঁচটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে। প্রতিদিনই চালকদের জরিমানাসহ অটোরিকশা ডাম্পিং করা হচ্ছে। ঢাকা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হানিফ খোকন বলেন, এটা বন্ধ করতে হলে মালিকদের গ্যারেজে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে হবে। কারণ কোনো মালিকই সরকার নির্ধারিত ৯শ’ টাকা জমা নেয় না। এক হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১৬শ’ টাকাও জমা নেয়া হচ্ছে। এই বাড়তি টাকার জন্যই চালকরা স্বেচ্ছাচারিতায় বাধ্য হচ্ছে। তিনি বলেন, পুরো রাজধানীতে মাত্র পাঁচটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পর্যাপ্ত নয়। এর সংখ্যা বাড়াতে হবে। তাহলে যাত্রী হয়রানী কমবে। ঢাকা মহানগর সিএনজি অটোরিকশা ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি বরকত উল্যাহ বুলু বলেন, কোনো মালিকের বিরুদ্ধে ৯শ’ টাকার বেশি জমা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নিবো। তিনি বলেন, আমি চালকদের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনারা কোনো মালিককে ৯শ’ টাকার বেশি দিবে না, দুই শিফটে গাড়ি চালাবেন না। আপনারা এ বিষয়ে কেনো একজোট হতে পারেন না। আপনারা অতিরিক্ত টাকা না দিলে কোনো মালিকই তা নিতে পারবে না।
জানা গেছে, গত ২৭ জানুয়ারী এই বিষয় নিয়ে বিআরটিএ’র প্রধান কার্যালয়ে মালিক, শ্রমিক ও বিআরটিএ’র মধ্যে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিআরটিএ’র চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় চালকদের স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। সভায় চারটি মালিক সমিতির নেতারা জমার অতিরিক্ত টাকা না নেয়ার অঙ্গীকার করেন। এর ব্যতিক্রম হলে আইনত শাস্তি তারা মাথা পেতে নিবেন বলে স্বীকার করেন। সভায় বিআরটিএ’র পক্ষ থেকে বলা হয়, কোনোভাবেই চালকদের স্বেচ্ছাচারিতা মেনে নেয়া হবে না। এজন্য প্রয়োজনে সিভিল টিম পুরো রাজধানীতে পর্যবেক্ষণে নামানো হবে।
তবে চালকদের অনিয়মের বিরুদ্ধে বিআরটিএ’র এই ব্যবস্থা দৃশ্যমান নয় বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। তারা বলছে, মিটারের মাধ্যমে ভাড়া নেয়ার বিষয়টিকে তোয়াক্কাই করছেন না অটোরিকশার চালকেরা। ভাড়া নিয়ে তাদের স্বেচ্ছাচারিতা চলছেই। যাত্রীদের প্রশ্ন, বিআরটিএ যদি ব্যবস্থা নেয়, তাহলে অটোরিকশার চালকেরা কেন নিয়ম অনুযায়ী ভাড়া নিচ্ছেন না। তাদের ভাষ্য, হয় চালকেরা বিআরটিএকে তোয়াক্কা করেন না, নয়তো বিআরটিএর নেয়া ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয়। বিআরটিএ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, অটোরিকশার বিরুদ্ধে বিআরটিএ দপ্তরে জমা পড়া বিভিন্ন অভিযোগের মধ্যে ৫৫টি অভিযোগের শুনানি শেষ করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তারা। এ ছাড়া সপ্তাহের প্রতিটি কার্যদিবসেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে বিআরটিএ। যাত্রী কল্যাণ সমিতি নামে একটি সংগঠনও বলছে, তারা সম্প্রতি ৫শ’টি সিএনজি অটোরিকশা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে, এগুলোর মধ্যে ৭৮ শতাংশই মিটারে চলছে না। অথচ নতুন ভাড়া কার্যকর হওয়ার পর প্রথম এক সপ্তাহে অটোরিকশা সংগঠনটি দেখেছিল, ৭৫ শতাংশই মিটারে চলছে। জানতে চাইলে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, যে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, সেটা দৃশ্যমান নয়। যখন অতিরিক্ত বাস ভাড়ার নৈরাজ্য নিয়ে মিডিয়া তৎপর ছিল, তখন বিআরটিএ তৎপর ছিল। মিডিয়া থেমে যাওয়ার পর বিআরটিএ-ও থেমে গেছে। সিএনজিচালিত অটোরিকাশার ব্যাপারেও তা-ই ঘটছে। তারা বলছে, ব্যবস্থা নিচ্ছে, কিন্তু তা দৃশ্যমান নয় এবং তাদের কার্যক্রম কোনো প্রভাবও ফেলছে না। এতে চালকদের স্বেচ্ছাচারিতা বেড়েই চলছে।
উল্লেখ্য, রাজধানী ঢাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার নতুন ভাড়ার হার গত বছরের ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়। নতুন ভাড়া অনুযায়ী অটোরিকশার প্রথম দুই কিলোমিটার ৪০ টাকা। পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ১২ টাকা। প্রতি এক মিনিট ওয়েটিংয়ের (যাত্রাবিরতি, যানজট ও সিগন্যাল) জন্য দুই টাকা। মালিকের জমা ৯০০ টাকা। ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হওয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল এখন থেকে ঢাকায় সব অটোরিকশা মিটারে চলবে। কিন্তু ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার পরও অনেক চালকই তা মানছেন না।
রাজধানীর প্রতিটি এলাকাতেই এরকম বহু ভুক্তভোগী যাত্রী পাওয়া যাবে যাদের অভিযোগ সিএনজি অটোরিকশার চালকদের বিরুদ্ধে। রামপুরার বাসিন্দা কবির হোসেন বলেন, কখনও কখনও মিটারে যেতে রাজি হয়। তবে ২০/৩০ টাকা বেশি দাবি করে। আবার নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে চায় না। মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা শামীম হায়দার বলেন, অটোরিকশায় মিটার আছে কিনা জানতে চাইলে ানেক সময় বলে, আমার মিটার নষ্ট। আপনার যদি মনে হয় কিছু বাড়িয়ে দিয়েন। তবে বেশিরভাগ যাত্রীর অভিযোগ সন্ধ্যার পর কেউই আর মিটারে যেতে চায় না। এ বিষয়ে বিআরটিএ’র সচিব মুহাম্মাদ শওকত আলী বলেন, অটোরিকশাগুলো যেকোনো দূরত্বে, যেকোনো গন্তব্যে মিটারে যেতে বাধ্য। যদি না যায়, তবে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ, বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালত অথবা দায়িত্বরত ট্রাফিককে জানালে সেই চালকের বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এ ছাড়া কেউ চাইলে বিআরটিএ কার্যালয়ে গিয়ে লিখিতভাবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগও দাখিল করতে পারে। অভিযোগ দাখিলের পদ্ধতি সম্পর্কে এই কর্মকর্তা বলেন, কয়েকভাবেই অভিযোগ করা যায়। বিআরটিএর ওয়েবসাইটে (িি.িনৎঃধ.মড়া.নফ) বিআরটিএর প্রধান কার্যালয়ের ফোন নম্বর এবং ওই কার্যালয়ে দায়িত্ব পালন করা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মোবাইল ও ফোন নম্বর দেওয়া আছে। কেউ চাইলে ঘটনাস্থল থেকে সেসব নম্বরে ফোন করে অটোরিকশার রেজিস্ট্রেশন নম্বর উল্লেখ করে অভিযোগ করতে পারে। এ ছাড়া সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ থাকলে অটোরিকশার রেজিস্ট্রেশন নম্বর, দিন, তারিখ এবং ঘটনার বিষয়ে উল্লেখ করে বিআরটিএর চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করা যাবে। বিআরটিএর প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে সেই লিখিত অভিযোগ দেয়া অথবা ওয়েবসাইটে উল্লিখিত ফ্যাক্স বা ইমেইলে মেইল করা যাবে। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে শুনানি করে বিআরটিএ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে।
চট্টগ্রামে পুলিশের আল্টিমেটাম
চট্টগ্রাম নগরীতে মিটারে চলবে সিএনজি অটোরিকশা। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) পক্ষ থেকে রোববারের মধ্যে মহানগরীতে চলাচলরত সকল অটোরিকশায় মিটার সংযোজন বা ক্যালিব্রেশন করতে বলা হয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী আগামী সোমবার (১ ফেব্রুয়ারী) থেকে মিটার ছাড়া কোন অটোরিকশা চলাচল করতে পারবে না। বাধ্যতামূলক মিটারে চলার সাথে সাথে সরকার নির্ধারিত ভাড়া আদায়ও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ওইদিন থেকে কেউ মিটারে সিএনজি অটোরিকশা চালাতে না চাইলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেয়ারও ঘোষণা দিয়েছে সিএমপি। তবে আদালতের নির্দেশে রেজিস্ট্রেশন ছাড়া যে সব সিএনজি অটোরিকশা চলছে তাদের ক্ষেত্রে মিটার লাগানো বাধ্যতামূলক হচ্ছে না বলে জানা গেছে।
এদিকে গতকাল পর্যন্ত বেশিরভাগ অটোরিকশায় কোন মিটার সংযোজন বা ক্যালিব্রেশন করা হয়নি। সরকারের অনুমোদনপ্রাপ্ত মিটার সংযোজনকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা জানান, হাতেগোনা কিছু অটোরিকশায় মিটার বসানো হয়েছে। মিটার বসাতে কেউ আগ্রহ দেখাচ্ছে না। অন্যদিকে চালকেরা অভিযোগ করেছেন, যোগাযোগ মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত ডিলাররা নিম্নমানের মিটার আমদানি করছে। এসব মিটার বেশি দিন টিকবে না।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মিটার সংযোজনের যে হার তাতে নিশ্চিত বলা যায় এবারও মিটারে ভাড়া আদায় বাধ্যতামূলক করার এই প্রচেষ্টা এবারও সফল হবে না। কয়েকজন চালকের সাথে কথা বলে জানা যায়, মিটার সংযোজনের ব্যাপারে মালিকদের তেমন আগ্রহ নেই। তারা বলছেন, অভিযানের শুরুতে কয়েকদিন অটোরিকশা বন্ধ রাখলে হবে। অভিযান থেমে গেলে সবকিছু আগের মতে চলবে। তবে সিএমপির ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, এবার পুলিশ কঠোর হবে। মিটার ছাড়া কোন অটোরিকশাকে রাস্তায় চলতে দেয়া হবে না। তবে শেষ পর্যন্ত কী হয় তা দেখার অপেক্ষায় এখন মহানগরীর যাত্রীরা।
চট্টগ্রাম মহানগরীতে বৈধ অটোরিকশার সংখ্যা ১৩ হাজার। তবে অবৈধভাবে আরও প্রায় ১০ হাজার অটোরিকশা চলাচল করছে। আবেদিত (এএফআর) লিখে চলছে কয়েক হাজার অটোরিকশা। এছাড়া সরকার সমর্থক পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের সাইনবোর্ড ঝুলিয়েও রাস্তায় অটোরিকশা চলছে। তবে এসব্ অটোরিকশাকে নিয়ন্ত্রণ করার কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। নগরীতে বৈধ-অবৈধ সব অটোরিকশা গলাকাটা হারে ভাড়া আদায় করছে। সরকার নির্ধারিত ভাড়ার কয়েকগুণ বেশি ভাড়া আদায় করছে চালকেরা। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই মহানগরীতে লোকসংখ্যা প্রায় ৬০ লাখ। লোকসংখ্যা অনুপাতে এখানে গণপরিবহনের সংখ্যা একেবারেই কম। এই সংকটকে পুঁজি করে যাত্রীদের জিম্মি করে রেখেছে অটোরিকশা চালকেরা।
বেপরোয়া চালকদের লাগাম টেনে ধরতে গত কয়েক বছর নানা উদ্যোগ নেয়া হলেও তা শেষ পর্যন্ত কার্যকর হয়নি। কয়েকদিন অভিযানে ধরপাকড় আর মামলা মোকদ্দমা দিয়ে পুলিশ দায়িত্ব শেষ করেছে। তবে যাত্রীদের জিম্মিদশার অবসান হচ্ছে না। গত ১ জানুয়ারী সর্র্বশেষ সময় বেঁধে দিয়ে ৩১ জানুয়ারীর মধ্যে অটোরিকশায় মিটার সংযোজন করার নির্দেশ দেয় সিএমপি। এর আগে ১ জানুয়ারী থেকে মিটারে ভাড়া আদায় বাধ্যতামূলক করার ঘোষণা দেয়া হলেও অটোরিকশা মালিক ও চালক সমিতির অনুরোধে ওই সময় এক মাস বাড়ানো হয়। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সকল সিএনজি অটোরিকশায় বিআরটিএ’র অনুমোদিত মিটার সংযোজনের নির্দেশ দেয় সিএমপি। সর্বশেষ গত ২৭ জানুয়ারী মিটার সংযোজন বিষয়ে অগ্রগতি পর্যালোচনায় অটোরিকশা মালিক, চালক, মিটার সংযোজনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোম্পানী, বিআরটিএ’র প্রতিনিধির সাথে বৈঠক করে সিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। সেখানে বেঁধে দেয়া সময়ে মিটার সংযোজন করতে বলা হয়।
সিএমপির উপ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) মাসুদ-উল-হাসান বলেন, ওই সভায় সকলে মিটার সংযোজন বিষয়ে একমত হয়েছেন। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে রেজিস্টার্ড সব সিএনজি অটোরিকশাকে মিটারে চলতে হবে। কেউ যদি মিটারে না চলে তবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া তবে। তিনি জানান, যে সব অটোরিকশার রেজিস্ট্রেশন নেই সেগুলো আদালতের একটি নির্দেশনা নিয়ে চলছে। তাই এগুলোর বিরুদ্ধে আপাতত কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে না। এগুলো মিটার ছাড়াই চলতে পারবে। আদালতের নির্দেশ পেলে এগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে।
অটোরিকশা চালক ও মালিক সমিতির নেতারা বলছেন, সরকার মিটার আমদানির জন্য যে ডিলার নিয়োগ করেছে তারা নিম্নমানের মিটার আমদানি করে। যা লাগানোর কয়েক দিনের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায়। আমাদের মিটার লাগাতে কোন আপত্তি নেই। কিন্তু এসব মিটার লাগানো হলে তা বেশিদিন টিকবে না। রেজিস্ট্রেশনবিহনী অটোরিকশা মিটার ছাড়াই চলতে পারবে পুলিশের এমন ঘোষণায় ক্ষুব্ধ বৈধ অটোরিকশার চালক ও মালিকেরা। তারা বলছেন, এক দেশে দুই আইন চলতে পারে না। আমরা সরকারকে টেক্স দিচ্ছি। আর যারা টেক্স দেয় না তারা মিটার ছাড়া চলছে। তারা বলেন, এই ধরনের বৈষম্য অটোরিকশা চলাচলের ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলর সৃষ্টি করবে।
সিএমপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সরকার নির্ধারিত ভাড়া হিসেবে অটোরিকশা চালকেরা প্রথম ২ কিলোমিটার ৪০ টাকা এবং পরবর্তী প্রতি কিলোমিটার ১২ টাকা করে আদায় করতে পারবে। বিরতিকালের জন্য ভাড়া প্রতি মিনিটে ২ টাকা। যে কোন দূরত্বে যাত্রী পরিবহনে বাধ্যতামূলক সর্বনিম্ন ভাড়া ৪০ টাকা আদায় করতে পারবেন চালকেরা। সরকার নির্ধারিত ভাড়া যদি সিএনজি অটোরিকশা চালকরা না মানে তাহলে ট্রাফিক পুলিশ কন্ট্রোল কক্ষে যোগাযোগের অনুরোধও জানিয়েছে সিএমপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিটারে চলছে না সিএনজি অটোরিকশা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ