পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1735328020](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় ডেঙ্গু পরিস্থিতির খোঁজখবর নিচ্ছেন। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, ডেঙ্গু আক্রান্তরা যেন বিনামূল্যে চিকিৎসা পায়। তা ছাড়া, এ নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ২৪ ঘণ্টা কাজ করছে। ডেঙ্গুর রোগীর সংখ্যা যদি বেড়ে যায়, তাদের চিকিৎসার জন্য আরও তিনটি হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট দেড়শ’ রোগীর জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
গতকাল শনিবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নতুন ভবনে ভর্তি ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের খোঁজখবর নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
হাসপাতালগুলোতে সরেজমিনে ডেঙ্গু পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। গতকাল দিনব্যাপী রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ, সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল, শেখ হাসিনা বার্ন ইস্টিটিউট ও ঢাকা শিশু হাসপাতালে ডেঙ্গু পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদসহ অন্য কর্মকর্তারা এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে ছিলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, ডেঙ্গু এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। ঢামেকে এখন পর্যন্ত এ রোগে ১১ জন মারা গেছে। তবে, তারা ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার আগেই নানা রোগে আক্রান্ত ছিল। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গত তিন দিন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, আগের চেয়ে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা অনেক কমেছে। ঢামেকে মোট ভর্তি ছিল ২ হাজার ৭৯৪ জন। ছাড়পত্র পেয়েছে ২ হাজার ৯০ জন। এখন ভর্তি আছে ৬৯৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছে ৫৪ জন। তিনি বলেন, আমাদের চিকিৎসকরা ২৪ ঘণ্টা ডেঙ্গু আক্রান্তদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। ১৩ সদস্যের একটি বিষেশজ্ঞ দল সব জেলায় ছুটে যাচ্ছে ও সেখানকার চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। তিনি বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। কোনো বিভ্রান্তিতে কান দেবেন না।
হাসপাতালগুলো পরিদর্শন শেষে বিভিন্ন মিডিয়া থেকে আগত সাংবাদিকদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ডেঙ্গু চিকিৎসা নিয়ে বাংলাদেশে বিশ্বের যেকোনো দেশের তুলনায় সবচেয়ে কম রোগীর প্রাণহানি ঘটেছে। স্বাস্থ্যসেবা খাতের সাথে সংশ্লিষ্ট ডাক্তার, নার্স থেকে সকলেই এই কৃতিত্বের দাবিদার। এ সময় হাসপাতালগুলো ঘুরে মন্ত্রী অসুস্থ রোগীদের সাথে কথা বলেন, তাদেরকে সাহস দেন।
জাহিদ মালেক রোগীদের সাহস দিয়ে বলেন, গোটা বিশ্বের চিকিৎসাসেবায় বাংলাদেশ উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। কারণ ডেঙ্গু রোগে একমাত্র বাংলাদেশেই সবচেয়ে কম প্রাণহানি ঘটেছে এবং সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসাসেবা, রক্ত পরীক্ষার উদোগ নেয়া হয়েছে। এ রকম সুযোগ আর কোথাও নেই। এর সবকিছুই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক দিকনির্দেশনার জন্য।
অনেক বেশি অহেতুক টেস্ট করা নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু না হয়েও শুধু সন্দেহের বসেই এখন মানুষ ডেঙ্গু টেস্ট করাচ্ছে কেবল আতঙ্কের কারণে। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা মেডিক্যালে প্রায় ৬০০ জন ডেঙ্গু রোগীর টেস্ট করালে তাদের মধ্যে মাত্র ১৬ জনের ডেঙ্গু পজিটিভ ধরা পরে। অন্যদিকে ঢাকা শিশু হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬৩ জন ডেঙ্গু টেস্ট করালেও ডেঙ্গু পজিটিভ ধরা পরেছে কেবল ৭ জনের। সুতরাং ডেঙ্গু রোগ ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে এ কথা আমরা পরিসংখ্যান অনুযায়ীই বলতে পারি।
ডেঙ্গু রোগীর পর্যাপ্ত বেড না থাকা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, আজকের ৫টি হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে দেখতে পেলাম যদি সামনে প্রয়োজন হয় তাহলে ‘শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে’ আরো নতুন ১ হাজার বেড, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ১ হাজার বেড, শিশু হাসপাতালেও বেশকিছু নতুন বেড স্থাপন করা যাবে। ইতোমধ্যেই মিটফোর্ডে ১০০, বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালে নতুন ২০০ বেড বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ বলেন, ডেঙ্গু পরীক্ষার কিটের সঙ্কট হলে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করা যেতে পারে। যার মোবাইল নং ০১৭০৮৫০৬০৪৭।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।