Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪, ১৩ আষাঢ় ১৪৩১, ২০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ডেঙ্গুর ভয়ে মন্ত্রী-এমপিরা দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন

মিছিল শেষে বক্তব্যে রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০১ এএম

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ডেঙ্গু মহামারী আকার ধারণ করেছে। সরকার এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ। ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে সরকারের অনেক মন্ত্রী-এমপি পরিবার নিয়ে দেশ ছেড়ে যাচ্ছেন। ডেঙ্গুর ভয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মালয়েশিয়ায় গিয়েছিলেন। তুমুল সমালোচনার মুখে ফিরে এসেছেন।

গতকাল নয়া পল্টনে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল হয়। মিছিলটি কাকরাইলে নাইটেঙ্গল রেস্তোরাঁ পর্যন্ত গিয়ে আবার কার্যালয়ে ফিরে আসে।

এই মিছিলে রিজভী ছাড়াও বিএনপির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মো. আবু জাফর, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানসহ মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ডেঙ্গুর এই মহামারী মোকাবিলার খবর নাই। সরকারের যারা আছেন তারা নিজেরা বাঁচবেন, জনগণ মরুক ডেঙ্গুতে, বন্যায় ভেসে যাক, জলোচ্ছ্বাসের ভেসে যাক- কোনো পরোয়া নেই প্রধানমন্ত্রীর এবং তার সরকারের। কারণ তারা তো দিনের আলোয় ভোটে নির্বাচিত নয়, তাদেরকে রাতের অন্ধকারের নির্বাচনে জিততে হয়। এই ধরনের সরকার জনগণের প্রতি দায়িত্ব থাকবে কেনো, জবাবদিহিতা থাকবে কেনো? থাকতে পারে না।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, প্রশাসনের মতো বিচার বিভাগকেও সরকার দলীয়করণ করেছে। বিচার বিভাগকে করায়াত্ব করা হয়েছে। ছাত্রলীগ-যুবলীগকে দিয়ে যেমন প্রশাসন সাজানো হয়েছে তেমনি নানাভাবেই তারা (সরকার) এদেরকে ঢুকাচ্ছে।

উচ্চ আদালতে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজের প্রসঙ্গ টেনে অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, সবার আশা-ভরসার স্থল হচ্ছে উচ্চতর আদালত। সেই আদালতে যে রায় হলো দেশনেত্রীর জামিনের ব্যাপারে- গোটা জাতি হতবাক হয়েছে, হতাশ হয়েছে- এ কি আমরা যাবো কোথায়? আমাদের আশ্রয়ের জায়গা কোথায়?

এ অবস্থা থেকে উত্তরণে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার মুক্তিযোদ্ধাদের সোচ্চার হওয়ার আহবান জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শক্তি কী বাকশাল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শক্তি কী একদলীয় শাসন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শক্তি কী শুধুমাত্র এক ব্যক্তির শাসন? মুক্তিযুদ্ধের চেতনা শক্তি ছিলো গণতন্ত্র।

রিজভী বলেন, পাকিস্তানীরা এদেশের জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটায়নি। সেকারণে তারা অস্ত্র হাতে নিয়েছিলো। আজকে পাকিস্তানিদের মতো, ইয়াহিয়া খানের মতো, টিক্কা খানের মতো আচরণ করছেন মধ্য রাতের ভোট চোর এ সরকার। তারা জনমতকে প্রতিফলিত হতে দিচ্ছেন না। তাই ভয়ে রাতের অন্ধকারে মিডনাইট নির্বাচন করছেন। এই গণবিরোধী সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।



 

Show all comments
  • Ashraf Hossain ৪ আগস্ট, ২০১৯, ১:৪৯ এএম says : 0
    বিন পি তে মিছিলের জন্য লোক পাওয়া যায় না?
    Total Reply(0) Reply
  • Shobuj Hossan ৪ আগস্ট, ২০১৯, ১:৫০ এএম says : 0
    কি আজব দেশরে মাইরি আমাদের। যেখানে প্রজারা মরে সেখানে নেতারা পালায়
    Total Reply(0) Reply
  • Abir Khan ৪ আগস্ট, ২০১৯, ১:৫০ এএম says : 0
    Right
    Total Reply(0) Reply
  • Bivash Dhar ৪ আগস্ট, ২০১৯, ১:৫০ এএম says : 0
    আপনার কথার ওজন ও গাম্ভীর্যতা দিন-দিন কমে যাচ্ছে।প্রতিটি বিষয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখানো শোভন নয়।
    Total Reply(0) Reply
  • Robert Hassan ৪ আগস্ট, ২০১৯, ১:৫১ এএম says : 0
    Rezvi has only one destination Paltan office
    Total Reply(0) Reply
  • Nayem Sheikh ৪ আগস্ট, ২০১৯, ১:৫২ এএম says : 0
    সত্য কথাই বলছেন, এই সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধতা না থাকায় কোন কিছুতেই মনোযোগী নয়।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডেঙ্গু

২৭ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ