পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঈদুল আজহায় দক্ষিণাঞ্চলের ৬টি জেলার ধর্মপ্রাণ অন্তত সাড়ে ৬ লাখ মুসলমান কোরবানি করছেন। এজন্য প্রয়োজনীয় গবাদিপশু দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশেই মজুদ রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। এ অঞ্চলের মানুষের কাছে ভারতীয় গরুর কদর কোন দিনই ছিলনা, এখনো নেই বলে প্রাণিসম্পদ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। গত কয়েক বছরে দেশে গবাদিপশু লালনপালনসহ এর উৎপাদন বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। দেশ ইতোমধ্যে গোশতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। তবে এখাতে দক্ষিণাঞ্চলে প্রবৃদ্ধি এখনো অন্য এলাকার মত আশাব্যাঞ্জক নয় বলে জানিয়ে আরো অগ্রগতি অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন পশুসম্পদ বিশেষজ্ঞরা।
চলতি বছর দক্ষিণাঞ্চলের ৬টি জেলায় কোরবানির জন্য প্রায় ৯০ হাজার পশু সনাক্ত করেছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। চ‚ড়ান্ত জরিপে এ সংখ্যা একলাখ অতিক্রম করবে বলে আশা করছেন কর্তৃপক্ষ। এর পরে আরো অন্তত ২৫-৩০ হাজার ষাড়সহ বিভিন্ন ধরনের গরু কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর এলাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের হাটগুলোতে।
দক্ষিণাঞ্চলে এবারো কোরবানির পশুর কোন ধরনের সঙ্কট বা সমস্যা সৃষ্টির শঙ্কা নেই বলে জানিয়ে দামও গত বছরের সমান থাকা উচিত বলে মনে করছেন পশুসম্পদ বিশেষজ্ঞরা। কোরবানি কেন্দ্রিক পশুরহাট দক্ষিণাঞ্চলে এখনো না বসলেও পাইকাররা কুষ্টিয়াসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মোকামগুলোতে ইতোমধ্যে টাকা লগ্নি করেছেন। বাজারে কোরবানির পশু এখনও উঠতে শুরু করেনি। আগামী সোমবার থেকে প্রায় ৭শ’ হাট-বাজারে কোরবানির পশু আমদানি ঘটবে বলে আশা করছেন বাজার পর্যবেক্ষকরা।
তবে দাম নিয়ে কিছুটা সন্দেহ রয়েছে। যদিও পশুর আমদানি ও ক্রেতা সমাগমের ওপরই কোরবানির পশুরহাট নির্ভরশীল। যদি স্থানীয় জাতের গরুর পাশাপাশি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে আমদানিকৃত গবাদিপশুর সমাগম ভাল হয়, তাহলে দাম বাড়বে না। তবে কোরবানির ঈদের আগে সংঘবদ্ধ বেপারিরা বাজারে একটা কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে দাম বাড়াবার চেষ্টা করে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী দক্ষিণাঞ্চলে বর্তমানে প্রায় ১৬ হাজার বাণিজ্যিক খামারে প্রায় ১ লাখ বিভিন্ন ধরনের গবাদিপশু হৃষ্ট-পুষ্ট করা হচ্ছে। যেখানে প্রায় ৪৫ হাজার ষাঁড়, ১৮ হাজার বলদ, ১৪ হাজার গাভী এবং দুই সহস্রাধিক মহিষ ছাড়াও ২১ হাজার ছাগল ও এক হাজারের মত ভেড়াসহ অন্য কিছু পশু রয়েছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মতে দক্ষিণাঞ্চলের ৬টি জেলায় প্রায় ৩ লাখ গরু ও ষাঁড় ছাড়াও আড়াই লাখ মহিষ, সাড়ে ১১ লাখ ছাগল ও খাসি এবং লক্ষাধিক ভেড়া থাকলেও এর মধ্যে প্রায় এক লাখ কোরবানি যোগ্য। গতবছর এই সংখ্যা ছিল ৮৫ হাজারের কিছুটা বেশি। ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমসহ উত্তরাঞ্চল থেকে বিপুল গবাদিপশু আমদানি করে বেপারিরা। যা ছিল চাহিদার অতিরিক্ত। ফলে শেষ দিকে চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত পশুর সমাগমে দরপতন ঘটে এ অঞ্চলে। অবিক্রিতও থেকে যায় অনেক পশু।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মতে, দেশে এবার কোরবানি যোগ্য প্রায় ৫০ লাখ গরু ও মহিষ এবং ৮০ লাখ ছাগল ও ভেড়া রয়েছে। গত বছর দেশে কোরবানি যোগ্য গবাদিপশু ছিল ১ কোটি ১৫ লাখ ৫৭ হাজার। এবার তা ১ কোটি ৩০ লাখে উন্নীত হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।