পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো :চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকায় গড়ে উঠা দেশের প্রথম ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারকে (বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র) বেগম খালেদা জিয়ার অবদান হিসেবে উল্লেখ করে চট্টগ্রাম বিএনপির নেতারা অভিযোগ করেছেন, সরকার তার অবদানকে অস্বীকার করে নিজেরাই এর কৃতিত্ব দাবি করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের উদ্বোধন করবেন। তার প্রাক্কালে গতকাল (শুক্রবার) এক বিবৃতিতে বিএনপি নেতারা বলেন, বিএনপি জোট সরকারের সময়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আন্তরিক প্রচেষ্টায় চট্টগ্রামে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের কাজ শুরু হয়েছিলো। আর এ বিষয়ে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছিলেন তৎকালীন বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৯৯৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আগ্রাবাদস্থ পিডাব্লিউডি’র মাঠটি নাম মাত্র ১ টাকা মূল্যে চট্টগ্রাম চেম্বারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের জন্য বরাদ্দ দেন। এরপর তিনি (সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া) সেটির ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন।
কিন্তু বরাদ্দ নেয়ার পর দেখা যায় বরাদ্দকৃত জায়গাটি ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের জন্য যথেষ্ট নয়। ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে ১৯৯৬ সালে বিষয়টি চট্টগ্রাম চেম্বারের বোর্ড অব ডাইরেক্টরের একটি প্রতিনিধি দল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করে আগের বরাদ্দকৃত জায়গা সংলগ্ন রেলওয়ের জায়গাটি বরাদ্দের জন্য আবেদন জানায়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ন্যায্যামূল্যে রেলওয়ের জায়গাটি ক্রয়ের জন্য চট্টগ্রাম চেন্বারকে পরামর্শ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তখন ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ২০০১ সালে বিএনপি জোট সরকার ক্ষমতায় আসলে ২০০২ সালে চট্টগ্রাম চেম্বারের বোর্ড অব ডাইরেক্টরের একটি প্রতিনিধি দল তৎকালীন বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সহযোগিতায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করে রেলওয়ের জায়গাটি ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের জন্য বরাদ্দের অনুরোধ করেন।
এর ফলশ্রুতিতে তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া চট্টগ্রাম চেম্বারকে দ্বিতীয় বারের মত রেলওয়ের জায়গাটিও অতিরিক্ত বরাদ্দের ব্যবস্থা করেন। এর মাঝে দেখা যায় বরাদ্দকৃত পিডাব্লিউডি ও রেলওয়ের জায়গার মাঝখানে পিডাব্লিউডি’র আরও একটি ছোট জায়গা রয়ে যায়। উক্ত জায়গাটিও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বরাদ্দের ব্যবস্থা করে দেন। এরপর চট্টগ্রাম চেম্বার সিডিএ থেকে ছাড়পত্র নেয়। তারপর মেম্বারশীপের জন্য নিউইউয়র্কে অবস্থিত ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার বরাবর আবেদন করেন। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার কর্তৃপক্ষ নিয়মানুযায়ী ১ কোটি টাকা জমা দিতে বললে চট্টগ্রাম চেম্বার সেটি কিস্তিতে জমা নেয়ার আবেদন করেন। এই আবেদনে সাড়া দিয়ে ওয়াল্ড ট্রেড সেন্টার ৪ কিস্তির মাধ্যমে টাকা জমা নিতে রাজি হন। তবে ১ কিস্তি জমা দেয়ার পরেই ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার মেম্বারশীপ দিয়ে দেন। পরে বাকি তিন কিস্তির মাধ্যমে টাকাগুলো চট্টগ্রাম চেম্বর জমা দেন। এরপর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের কাজ উদ্বোধন করেন। তখন থেকে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের কাজ শুরু হয়। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উদ্যোগে ও আন্তরিক প্রচেষ্টায় চট্টগ্রামে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার নির্মাণ হয়েছে। তিনি যদি বিনামূল্যে জায়গা বরাদ্দের ব্যবস্থা ও উদ্যোগ গ্রহণ না করতেন তাহলে চট্টগ্রামবাসীর জন্য ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার স্বপ্নই থেকে যেত।
বিবৃতিদাতারা হলেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি ও চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপত্বি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি সরওয়ার জামান নিজাম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি সামশুল আলম, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শাহাদাত হোসেন, সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গাজী শাহজাহান জুয়েল, উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কাজী আবদুল্লাহ আল হাসান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।