পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগস্ট মাস এলেই জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তি সক্রিয় হয়ে ওঠে। আগস্ট মাস আসলে নেত্রীকে নিয়ে বিপদের আশঙ্কা থাকে, অশুভ তৎপরতা জেগে ওঠে। একারণে চলতি মাসেও বিপদের ঝুঁকি আছে। এজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
গতকাল রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে যুবলীগ আয়োজিত ‘মাসব্যাপী সংবাদ চিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধনী’ পূর্ব আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ১৫ আগস্টের জন্মদিন পালনের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা ১৫ আগস্টের ভুয়া জন্মদিন পালন করে তারা নির্মম পরিহাস করে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগস্ট মাস এলেই জঙ্গিবাদ, নাশকতা, সাম্প্রদায়িকতা- যা যা নিষ্ক্রিয় আছে বলে মনে করি, সে অপশক্তিগুলো আবার সক্রিয় হয়ে ওঠে। হঠাৎ অপতৎপরতা চালায়। কারণ, তারা জানে এক শেখ হাসিনাকে শেষ করে দিতে পারলে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করা যাবে। একদিকে হারানোর বেদনা, আবার নতুন করে হারানোর সেই শঙ্কা আমাদের মধ্যে শিহরণ সঞ্চারণ করে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে ’৭৫-পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ রাজনৈতিক নেতা হচ্ছেন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। আগস্ট মাস এলে বঙ্গবন্ধুর মতো আমাদের প্রিয় নেত্রী যাকে ঘিরে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি আবর্তিত, তাকে নিয়ে এই মাসে বিপদের আশঙ্কা থাকে, অশুভ তৎপরতা জেগে ওঠে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। যুবলীগকে সতর্কতার সঙ্গে প্রোগ্রাম করতে হবে।
তিনি বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকন্যাকে বিভিন্নভাবে ধিকৃত করতে চান, তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উদার রাজনীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তার রাজনীতি শুধু রাজনীতি করার জন্য নয়, নির্বাচনী এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য নয়। শেখ হাসিনার রাজনীতি পরবর্তী প্রজন্মের ভিশন নিয়ে কাজ করা। তিনি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য কর্মস‚চিতে ১০০ বছর পেরিয়ে গেছেন। এ কারণেই যুবলীগ শেখ হাসিনাকে যে রাষ্ট্রনায়ক উপাধি দিয়েছে, তা যথার্থ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ যদি শেক্সপিয়ার বেঁচে থাকতেন, তাহলে তিনি নিশ্চয়ই লিখতেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাÐ বিশ্বের নৃশংসতম ও জঘন্যতম। কারা বঙ্গবন্ধু হত্যায় পেছন থেকে মদদ দিয়েছিল, ইনডেমিনিটি দিয়ে খুনিদের পুরস্কৃত করেছিল, বিদেশে দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিল, ইডেমিনিটি আইনে পরিণত করেছিল- তা জাতি জানে। জিয়াউর রহমান এর সঙ্গে জড়িত ছিল, এগুলো ইতিহাস জানে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা জানেন ১৫ আগস্ট হত্যাকাÐের নেপথ্যে কারা ছিল, দেশের জনগণ জানেন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার নেপথ্যে কারা ছিল। রাজনীতিতে এত ট্র্যাজেডির পরও গণতন্ত্রের স্বার্থে, সুশাসনের স্বার্থে আমরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কর্মের সম্পর্ক রাখতে চাই। কিন্তু, যারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকীতে কেক কেটে ভুয়া জন্মদিন উদযাপন করে, তাদের সঙ্গে আমরা কর্মসম্পর্ক রাখি কীভাবে? তারা যদি এ কাজ বন্ধ না করে, তবে তাদের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক গড়ে তোলা কঠিন। যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভার সঞ্চালনা করেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।