পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ২০১৯-২০ অর্থবছরের ২ হাজার ৪শ’ ৮৫ কোটি ৯১ লাখ ৭৮ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রামে (টিআইসি) জনাকীর্ণ এক সংবাদ সম্মেলনে বাজেট ঘোষণা করেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
বাজেট বক্তৃতায় মেয়র নাছির বলেন, নগরবাসীর আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটানো ও পরিবেশগত, প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ নান্দনিক ও বাসযোগ্য নগরী প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিয়ে এ বাজেট দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এটি চসিকের পঞ্চম নির্বাচিত পরিষদের পঞ্চম ও শেষ বাজেট।
নগরীর প্রধান সমস্যা পানিবদ্ধতা প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, বিগত চার বছরে নগরীর প্রতিটি সড়কের পাশে পরিকল্পিত ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম নগরীর পানিবদ্ধতা নিরসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ হাজার ৬শ’ ১৬ কোটি টাকার একটি মেগা প্রকল্প সিডিএকে অনুমোদন দিয়েছেন। যার বাস্তবায়ন সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় চলমান রয়েছে। এছাড়াও পানি উন্নয়ন বোর্ডের গৃহীত প্রকল্প ও চসিকের নতুন খাল খনন প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রামের পানিবদ্ধতা নিরসন দৃশ্যমান পরিবর্তন হবে।
বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে একটি উন্মুক্ত উদ্যান প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে জানিয়ে মেয়র নাছির বলেন, নগরীর ষোলশহর বিপ্লব উদ্যানকে এজন্য বেছে নেয়া হয়েছে। উন্নয়ন প্রকল্পের নাম দেয়া হয়েছে ‘সোল স্কোয়ার’ বা ‘প্রাণের স্পন্দন’।
মেয়র বলেন, নগরীকে যানজট মুক্ত করতে মেট্রো ট্রেন চালু করা হবে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বিশেষজ্ঞ দল সমীক্ষা চালিয়েছেন। এয়ারপোর্ট রোডকে সম্প্রসারণ করে চার লেনে উন্নীত করা হবে। আউটার স্টেডিয়ামকে দৃষ্টিনন্দন করতে প্রকল্প নেয়া হয়েছে। অচিরেই আধুনিক নগর ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে চসিকের সংশোধিত বাজেট ছিল ২ হাজার ৪৫ কোটি ৫১ লাখ ৯৮ হাজার কোটি টাকা। এরমধ্যে ১ হাজার ৩৬৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে বহদ্দারহাট বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী পর্যন্ত খাল খননের জন্য ৮৫১ কোটি ২৫ লাখ টাকা জেলা প্রশাসনকে দেয়া হয়েছে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য। বন্যা ও পানিবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫৯ কিলোমিটার সড়ক, ২ দশমিক ২০ কিলোমিটার রিটেইনিং ওয়াল, ১৪ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ, ৪টি ব্রিজ ও ২টি কালভার্ট নির্মাণের কাজ চলমান আছে।
মেয়র চসিক চাকরি বিধিমালা না থাকা বড় বাধা ছিল উল্লেখ করে বলেন, চাকরি বিধিমালা ২০১৯ অনুমোদন চসিকের বর্তমান পরিষদের তাৎপর্যপূর্ণ অর্জন। এ কারণে চট্টগ্রামবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদের প্রতি অকুণ্ঠ কৃতজ্ঞতা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদসহ ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণ ও বিভাগীয় প্রধানরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।