Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আওয়ামী লীগ ও জঙ্গীদের আচরণ একই খালেদা জিয়া

প্রকাশের সময় : ৭ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার :বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, ভোটারবিহীন সরকারের রাজনৈতিক আচরণ এবং জঙ্গীদের আচরণের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। এই দুই পক্ষই বিরোধী চিন্তা ও মত সহ্য করে না। গণতন্ত্রের নামে মানুষের মৌলিক মানবিক অধিকার এরা নৃশংস কায়দায় থেঁতলে দিতে কুণ্ঠাবোধ করে না। অমানবিক বর্বরতাই এদের দিনরাতের কর্মসূচি। গতকাল সোমবার দুপুরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, দেশে শুরু হয়েছে সিরিয়াল কিলিং। দেশবাসী যেন এক নিরাপত্তাহীন অন্ধকার গুহায় বসবাস করছে। চারিদিকে ভয়, শঙ্কা আর আতঙ্ক নিয়েই দেশের মানুষ এখন অনিশ্চিত জীবনযাপন করছে।
মানুষের অধিকারহীন এই দেশ যেন এখন মৃত্যুনগরীতে পরিণত হয়েছে। মানুষকে প্রতিনিয়ত জীবনাশঙ্কায় ভয়াল পরিবেশে বসবাস করতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতি উত্তরণে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করতে না পারলে জাতি হিসেবে আমাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে।
তিনি বলেন, সরকারের বন্য প্রতিহিংসার আক্রোশে জঙ্গীদের তৎপরতা দমন করার পরিবর্তে বিরোধী দলের ওপর দায় চাপিয়েই দায়িত্বের সমাপ্তি ঘটালেও নিজেরা নিষ্কলঙ্ক হতে পারছে না। তাই প্রকৃত দুষ্কৃতকারীদের অনুসন্ধান করে গ্রেফতার করার পরিবর্তে বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তা ছড়াচ্ছে। কিন্তু দেশের মানুষ এবং বিশ্ববাসী তাদের অপপ্রচার বিশ্বাস করে না। আর এই সুযোগে জঙ্গীরা আরো বেশী শক্তিশালী হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গীরা প্রকাশ্য দিবালোকে নির্ভয়ে হত্যাকা- সংঘটিত করছে, অথচ ক্ষমতাবিলাসী সরকার নিশ্চিন্তে এগুলোকে আমলেই নিচ্ছে না। বিদেশী হত্যা থেকে শুরু করে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের লোকজন ও তাদের ধর্মগুরু, মসজিদের ঈমাম, শিয়া মুসলমান, পীর ও পীরের শিষ্য কেউই ঘাতকদের প্রকাশ্য অস্ত্রের আঘাত থেকে রেহাই পায়নি। জনপদের পর জনপদে এখন শোকের মাতম উঠেছে। দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত ক্ষমতা বজায় রাখতে গিয়ে সরকার নিজেই রক্তাক্ত হানাহানির পথ বেছে নিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার রাজনৈতিক অন্ধকারে পা রেখেছে। দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, প্রশাসন সকলকে তোয়াক্কা না করে প্রকাশ্যে অস্ত্র দিয়ে বারবার হত্যাকান্ড ঘটানোর পর এক নির্বিকার উদাসীনতা প্রদর্শন করছে সরকার। আসলে এই বর্বরোচিত ঘটনাগুলোর রহস্য কী এবং এ নিয়ে সরকার-জঙ্গীরা কে কী বার্তা দিতে চাচ্ছে, তা নিয়ে জনগণের মধ্যে এক বড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
খালেদা জিয়া বলেন, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপারের স্ত্রী এবং নাটোরের খ্রিশ্চিয়ান পল্লীতে মুদি দোকানীকে হত্যা বর্বর, কাপুরোষোচিত ও অমানবিক পশুপ্রবৃত্তির সামিল। মানবতাবোধ শূন্য এই অন্ধ হিং¯্রতা মানুষের বিবেককে দারুণভাবে নাড়া দিয়েছে। দেশে একদলীয় দুঃশাসনের নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার একটি হচ্ছে এই জঙ্গী তৎপরতা।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া অবিলম্বে পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী মাহমুদা খাতুন এবং খ্রিশ্চিয়ান মুদি দোকানদার সুনীল দানিয়েল গোমেজকে হত্যাকারী দুর্বৃত্তদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান। একই সাথে তিনি মাহমুদা খাতুনের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত এবং সুনীল দ্যনিয়েলের আত্মার শান্তি কামনা করে নিহতদের পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আওয়ামী লীগ ও জঙ্গীদের আচরণ একই খালেদা জিয়া
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ