পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নাছিম-উল আলম : বিশ্ব মুসলিমের নয়নের মণি দয়াল নবী রাসূলে পাক (সা.) প্রতিষ্ঠিত পবিত্র মদিনা মনোয়ারায় মসজিদে নববীতে গতকাল প্রথম রোজাতেই অন্তত দশ লাখ মুসল্লি একই সাথে ইফতার গ্রহণ করেছেন। ইফতার শেষে এক জামাতে মাগরিবের নামাজ আদায় করছেন এসব মুসল্লি। গোটা মুসলিম বিশ্বের নানা ভাষার ও বর্ণের লক্ষ লক্ষ মুসলমান পবিত্র মক্কা-মোয়াজ্জেমায় রমজানে অতি পূণ্যের ওমরাহ পালনের আগে-পরে দয়াল নবীজী (সা.) এর রওজা মোবারকে সালাম ও দরুদ আদায়ে মদিনা মনোয়ারায় ছুটছেন। মসজিদে নববীতেই শুয়ে আছেন সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ, রাসূলে করিম হযরত আহমদ মুজতবা মোহম্মদ মোস্তফা সাল্লল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম। এ রওজা মোবারকই ছিল দয়াল নবী (সা.)’র বসতঘর। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মসজিদ ‘মসজিদে নববী’, মহানবী (সা.)’র মসজিদ হিসেবেও পরিচিত। দয়াল নবী (সা.) এ মসজিদটি ৬২২ সালে মাটি ও খেজুর গাছের কা- দিয়ে তৈরি করেছিলেন। নবীজী (সা.) বর্ণনা করেছেন, মসজিদে নববীতে এক রাকাত নামাজ আদায়ে মহান আল্লাহ রাব্বুল আল-আমীন ৫০ হাজার রাকাত নামাজের সওয়াব প্রদান করবেন। সেখানে ইফতার গ্রহণ যথেষ্ট মর্তবা ও সওয়াবের।
মক্কা-মোয়াজ্জেমায় পবিত্র ওমরাহ পালনের আগে-পরে সারা বিশ্বের মুসলিমগণ পবিত্র মদিনা মনোয়ারায় পাঁচ থেকে ৮ দিন পর্যন্ত কাটান। এ সময় তারা মসজিদে নববীতেই জামাতে নামাজ আদায় করছেন। আর এদের প্রায় সকলেই প্রতিদিন মসজিদে নববীর বিশাল ইফতারির জামায়াতেও শরিক হচ্ছেন। গতকালই ছিল সউদী আরবে রমজান মাসের প্রথম রোজা।
রোজা উপলক্ষে ধনী-গরিব সাদা-কালো নানা বর্ণের লক্ষ লক্ষ মুসলিমের এক অভূতপূর্ব মিলন মেলা এখন গোটা মসজিদে নববী ও এর বিশাল খোলা চত্বর। একই সাথে এত বিপুল সংখ্যক মানুষ বিশ্বের কোথাও খাবার গ্রহণ করে না। রমজান মাসের শুরু থেকেই অধিক সওয়াবের নিয়তে মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে লক্ষ লক্ষ মুসল্লি ওমরাহ পালনে সউদী আরব পৌঁছতে শুরু করেছেন। তাদের অনেকে পবিত্র মক্কা-মোয়াজ্জেমায় ওমরাহ পালন করে মদিনায় আসছেন।
প্রায় সোয়া ৪শ’ কিলোমিটার দূরে পবিত্র মক্কা-মোয়াজ্জেমা থেকে আনা জমজম কূপের সুমিষ্ট শীতল পানি প্রতিদিনের ইফতারির অপরিহার্য পানীয়। এর সাথে মুসলিম ঐতিহ্যের ধারক সউদী খেজুরসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের আপেল, কমলা, মাল্টা, মুসাম্বী ও নানা ধরনের সুমিষ্ট কলাও ছিল ইফতারিতে। আরো ছিল প্যাকেটজাত দুধ, মাঠাসহ বিভিন্ন ফলের জুস। এমনকি চা ও কফি পর্যন্ত ছিল আরবের ঐতিহ্যবাহী রুটিও। ইফতারির পরে মদিনা মনোয়ারার পথে-প্রান্তরে রাতের খাবার বিলি করেছেন স্থানীয় ধনাঢ্য ব্যক্তি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।