Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস আজ

প্রকাশের সময় : ৭ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : আজ ৭ জুন। ঐতিহাসিক ৬-দফা দিবস। বাঙালির মুক্তির সনদ হচ্ছে এই ৬-দফা। ১৯৪০ সালে লাহোর প্রস্তাব পেশের মাধ্যমে যেমনি পাক-ভারত উপমহাদেশের জনগণ ব্রিটিশ শোষকদের এদেশ থেকে তাড়ানোর জন্য ঐকমত্য হয়েছিল, ঠিক তেমনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৬৬ সালের এই দিনে ঘোষিত ৬-দফাকে তৎকালীন পূর্ববাংলার জনগণ পশ্চিমাদের এদেশ থেকে তাড়ানোর হাতিয়ার হিসেবে গ্রহণ করেছিল। আইয়ুব খানের মার্শাল ল’ শাসন, ’৬২-এর শিক্ষানীতিসহ সব অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবং পূর্ববাংলার জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজকের এই দিনে ৬-দফা ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে এই ৬-দফার প্রতিটি দফা বাংলার আনাচে-কানাচে প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে বাংলার জনগণের সামনে তুলে ধরেন। বাংলার সর্বস্তরের জনগণ এই ৬-দফা সম্পর্কে যখন সম্যক ধারণা অর্জন করল তখনই ৬-দফাকে বাঙালির মুক্তির সনদ হিসেবে আখ্যায়িত করা হলো। আইয়ুব খানের পতন, ১৯৬৯-এর আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে জাতির পিতাসহ সব রাজবন্দীর মুক্তি আন্দোলনের প্রধান মনোবল ছিল এই ৬-দফা। সর্বোপরি ১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে পূর্ববাংলার জনগণ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মনোনীত প্রার্থীদের একচেটিয়া রায় প্রদান করে বাঙালির মুক্তির সনদ ৬-দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করার পরও পশ্চিম পাকিস্তানিরা যখন সরকার গঠনে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য গড়িমসি শুরু করল তখনই মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ৭ই মার্চে রেসকোর্স ময়দানের (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ভাষণের মাধ্যমে। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণেও ৬-দফার প্রতিটি দফার পর্যালোচনা ছিল। পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মুজিবনগর সরকার বিভিন্ন সেক্টরের মাধ্যমে যুদ্ধ পরিচালনা করার পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরে সব সরকারি প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয়েছিল ৬-দফার ভিত্তিতে। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ সৃষ্টিতে ৬-দফার ভূমিকা অপরিসীম। সে কারণে প্রতি বছর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৭ জুন ‘৬-দফা দিবস’টিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় ৬-দফার আলোকে পরিচালিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের (’৭২-৭৫)-এর সোনার বাংলার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের ‘রূপকল্প ২০২১’-এর মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ এবং ‘রূপকল্প ২০৪১’-এর উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সমগ্র জাতির সাথে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এই দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় স্মরণ ও পালন করবে।
ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার সূর্য উদয় ক্ষণে বঙ্গবন্ধু ভবন ও কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করবে আওয়ামী লীগ। সকাল সাড়ে  ৯টায় বঙ্গবন্ধু ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে  বেলা ৩টায় মহানগর নাট্যমঞ্চে (গুলিস্তান) আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে, ঐতিহাসিক ৬-দফা দিবস পালনের জন্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এক বিবৃতিতে ৭ জুন ঐতিহাসিক ৬-দফা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন উপলক্ষে গৃহীত কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী সব সাংগঠনিক জেলা-উপজেলায় পালন করার জন্য আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসমূহের সব শাখাসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মী, সমর্থক ও জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস আজ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ