পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিলেট অফিস : সিলেট নগরীর একটি হোটেল থেকে ১৬ ভরি স্বর্ণসহ এক ‘জীনের বাদশা’কে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। আটকৃতের নাম মো. নূরে আলম (৩৮)। সে নগরীর ভাতালিয়ার মৃত হাজী নাছির উদ্দিনের ছেলে। নূরে আলম দেশের বিভিন্ন মাজারে মাজারে ঘুরে সাধারণ মানুষের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে প্রত্যারণা করে থাকে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সোমবার সন্ধ্যায় সিলেট মহানগর পুলিশ এক ই-মেইল বার্তায় এমন তথ্য জানিয়েছে।
পুলিশ জানায়, মো. নূরে আলম নিজেকে একজন পীর হিসেবে জনগণের মধ্যে পরিচিত করার চেষ্টা করে। গত কয়েকমাস যাবৎ সে তার মোবাইল থেকে প্রতিদিন অনবরত কয়েকশ অজ্ঞাত নম্বরে কল করতে থাকে। এর মধ্যে যাকে তার কাছে সুবিধাজনক মনে হয় তার সাথে সে কথাবার্তা চালিয়ে যায় এবং বিভিন্ন ভাবে প্রতারিত করার চেষ্টা করে।
সর্ব শেষ ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ঝিলটুলি মোল্লাবাড়ির এলাকার সাবেরা সুলতানা লাইজু (৩৯) নামের এক গৃহবধূ‘র সাথে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় মো. নূরে আলমের। এ সময় নূরে আলম নিজেকে জিনের বাদশা পরিচয় দিয়ে লাইজুর সাথে প্রতিদিন অনেকক্ষণ ধরে মোবাইলে কথাবার্তা চালিয়ে যায় ও বিভিন্ন রকম আধ্যাত্মিক কথা, গজল, কোরআনের আয়াত, ইসলামিক কবিতা প্রভৃতি শোনায়। একপর্যায়ে লাইজুকে সম্মোহিত করে ফেলে। লাইজু নূরে আলমকে জানায় যে, তার কোন সন্তান নেই এবং এ নিয়ে সে বেশ অশান্তিতে রয়েছে। তখন নূরে আলম লাইজুকে তাবিজ-কবজের মাধ্যমে সন্তানের ব্যবস্থা করে দিবে বলে আশ্বস্ত করে। এছাড়াও লাইজুকে তার সমস্ত স্বর্ণালংকার নিয়ে ঢাকায় গাবতলী বাস টার্মিনালে দেখা করতে বলে। নূরে আলম বলে যে, স্বর্ণালংকারে দোয়া-দুরূদ এবং ঝার-ফুক দিলে লাইজু সন্তানের মা হতে পারবে। লাইজু সরল বিশ্বাসে ঢাকা গিয়ে সন্তানের আশায় নূরে আলমের হাতে সমস্ত স্বর্ণালংকার তুলে দেয়। স্বর্ণ নেয়ার দুই দিন পর নূরে আলম আচার অনুষ্ঠানের জন্য লাইজুর কাছে আরো ২০ লক্ষ টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে তার এবং তার পরিবারের ক্ষতি হবে বলে ভয় দেখায়। এমতাবস্থায় ভীষণ দুশ্চিন্তাগ্রস্থ লাইজু বাড়ি বিক্রি করে ১০ লক্ষ টাকা জোগাড় করে এবং টাকা কোথায় দিবে বলে নূরে আলমকে মোবাইলে জিজ্ঞেস করে। তখন নূরে আলম তাকে সিলেট শাহজালাল (রহ.) মাজারে আসতে বলে। এক পর্যায়ে নূরে আলম লাইজুর সাথে ফোনে কথাবার্তা আগের চেয়ে অনেক কমিয়ে দেয়। তখন লাইজুর মনে একটু সন্দেহ দেখা দেয়। পরে লাইজু সিলেট এসে এসএমপি’র এডিসি (ডিবি) মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইনকে বিষয়টি জানায়। পরে গত রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে লাইজু তার স্বামীসহ নূরে আলম কর্তৃক নির্ধারিত স্থান তাজমহল হোটেলে অবস্থান করেন। এ সময় নূরে আলম তাদের কাছে পূর্ব নির্ধারিত ২০ লক্ষ টাকা দেয়ার জন্য চাপ দেয়। তখন আশপাশে ওঁৎপেতে থাকা এসএমপি (ডিবি)’র টিম গিয়ে নূরে আলমকে হাতেনাতে আটক করে।
পুলিশ আরো জানান- আটকের পর নূরে আলম লাইজুকে ঠকিয়ে স্বর্ণালংকার নেয়ার কথা স্বীকার করেছে। পরে ডিবির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন সাহেবের নেতৃত্বে শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ১৬ ভরি স¦র্ণালংকার উদ্ধার করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।