পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের সকল বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রে ডেঙ্গু রোগ সংশ্লিষ্ট টেস্টগুলোর নতুন মূল্য নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ডেঙ্গু টেস্টের ফি ৫০০ টাকার বেশি না নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগ সংশ্লিষ্ট সব টেস্ট ফ্রি ঘোষণা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেকের নির্দেশনায় রোববার (২৮ জুলাই) এ ঘোষণা দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মেডিকেল অফিসার (হাসপাতাল) ডা. শাহ আলম সিদ্দিকী। তিনি বলেন, ডেঙ্গু NS1 Antigen পরীক্ষা সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার পূর্ব মূল্য ছিল ১ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার টাকা। একই সঙ্গে IgM + IgE অথবা A_ev IgM/ IgE- ৫০০ টাকা (সর্বোচ্চ), যার পূর্ব মূল্য ছিল ৮০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা।
এছাড়া CBC (RBC + WBC + Platelet + Hematocrit)- ৪০০ টাকা (সর্বোচ্চ), যার পূর্ব মূল্য ছিল ১ হাজার টাকা।
সূত্র মতে, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ডেঙ্গু রোগ নির্ণয়ের জন্য রোববার (২৮ জুলাই) থেকে এই সিদ্দান্ত কার্যকর হবে।
রোববার বিকেলে রাজধানীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে সভায় ডেঙ্গু জ্বরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিষদ আলোচনা করা হয়। বিশে^র অন্যান্য দেশে ডেঙ্গু জ্বরের কারণে রোগীর মৃত্যু সংখ্যা অনেক বেশি হলেও বাংলাদেশের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে ডেঙ্গু জ্বরের মৃত্যুর হার ততটা ভয়াবহ নয় বলে আলোচকরা জানান। এ বিষয়ে ভবিষ্যতে আরো সমন্বিত চিকিৎসা প্রয়োজন রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়। রাজধানীতে ডেঙ্গুজ্বরের প্রকোপ মোকাবেলায় বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়গনস্টিক সেন্টারগুলোর পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে ‘ডেঙ্গু রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা সংক্রান্ত’ সভায় রোগ নির্ণয়ের জন্য সরকারিভাবে নতুনভাবে মূল্য নির্ধারণ করা হয়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ডেঙ্গু রোগ নির্ণয়ের জন্য রোববার (২৮ জুলাই) থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
সভায় এই মূল্য তালিকা অনুযায়ী সব বেসরকারি হাসপাতাল, ডায়াগণস্টিক সেন্টারে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য একটি ‘ওয়ান স্টপ সেন্টার’ চালু করতে হবে। এর পাশাপাশি সব হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে। ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যার অনুপাতে চিকিৎসক, নার্সসহ প্রয়োজনীয় জনবল বৃদ্ধি করার জন্যও আলোচনা সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বছর শেষ হতে এখন পাঁচ মাস বাকি থাকলেও চলতি মাসেই বাংলাদেশের ইতিহাসে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রায় দেড় যুগ আগে ২০০২ সালে দেশে সর্বোচ্চ ৬ হাজার ২৩২ জন আক্রান্ত হন। তবে ২০০০ সালে ৯৩ জনের মৃত্যুর রেকর্ডই ছিল সর্বাধিক। দীর্ঘ ১৬ বছর পর অর্থাৎ ২০১৮ সালে সর্বোচ্চ ১০ হাজার ১৪৮ জন আক্রান্ত হয়ে নতুন রেকর্ড করেছিল। মৃতের সংখ্যা ছিল ২৬।
চলতি বছরের সাত মাস শেষ হওয়ার আগেই ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ১১ হাজার ৬৫৪। শুধু জুলাই মাসে রোবাবর পর্যন্ত রোগীর সংখ্যা ৯ হাজার ৫১০। ফলে ২০১৮ সালের রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড স্থাপিত হলো।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেল্থ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে চলতি বছরে সর্বোচ্চ ১১ হাজার ৬৫৪ ডেঙ্গু রোগী সরকারি- বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে নতুন রেকর্ড স্থাপন করেছেন। তবে এ বছর মৃতের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম, মাত্র আটজন। যদিও অন্যান্য হিসেব মতে এই সংখ্যা ৩৫।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।