পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খালেদা জিয়ার জিহ্বায় যে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে তা দূর করতে দাঁতের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষ। গতকাল বিএসএমএমইউর পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে মাহবুবুল হক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ওপরের মাড়ির দু’টি দাঁতে ইরিটেশন হচ্ছিল। সে জন্য তিনি আনইজি ফিল করছিলেন। এতে তার জিহ্বায় ছোট আকারে ঘা হয়েছে। সেটা ট্রিটমেন্ট দেয়ার জন্য আজকে তাকে ডেন্টাল বিভাগে নেয়া হয়। সেখানে আধা ঘণ্টাব্যাপী চিকিৎসা দিয়ে দাঁতের সমস্যা দ‚র করে দেয়া হয়।
খালেদা জিয়া চার মাস যাবত এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি কেমন আছেন প্রশ্ন করা হলে পরিচালক বলেন, তার চিকিৎসা কন্টিনিউ হচ্ছে, আমাদের মেডিক্যাল বোর্ড তার চিকিৎসা করছেন। আমি বলতে চাই গ্র্যাজুয়াল ইম্প্রোভিং। আমি আগেও বলেছি যে, এসব ক্রনিক ডিজিজ ডায়াবেটিস, আথরাইটিস এসব রোগ একশ’ পার্সেন্ট ভালো করা ডিফিকাল্ট। এসব মিরাক্যালি ভালো হয়ে যাবে সেটাও নয়।
পরিচালক বলেন, আমি বলব তিনি ভালো আছেন। আপনারা দেখছেন তাকে। তাকে দেখে কি মনে হয়েছে তিনি খুব বেশি অসুস্থ? তিনি ভালো আছেন। ইনশাল্লাহ তার অবস্থা ইম্প্রোভিং, কমফোরটেবল আছেন। আগে যেভাবে এসেছিলেন, তার চেয়ে বেটার, ডেফিনেটলি বেটার আছেন।
দন্ত সংরক্ষণ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, আমি আজকে এক্সামিন করি। আমি দেখলাম তার কয়েকটা ভাঙা দাঁতের শেকড় রয়ে গেছে। জিহ্বায় যে জায়গাটায় ঘা ছিল তার থেকে আরেকটা জায়গায় ছোট একটা ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে এবং তার কারণটা হলো ওপরের দু’টি আক্কেল দাঁত ৮ ও ৭ নম্বর ভাঙা দাঁতের শেকড় আছে। সেই দাঁত দু’টির ভাঙা অংশ ধারালো ছিল। আমরা সেই দু’টি দাঁত সমান করে দেই। একে গ্রাইন্ডিং ও স্মোথ বা পোলিশিং করে দিয়েছি। এটি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অন্য দাঁতগুলো ভালো আছে। আমার বিশ্বাস যে, জিহ্বার ক্ষতটা চলে যাবে। ম্যাডামকে জিজ্ঞাসা করেছি- তিনি বলেছেন, হ্যাঁ আমার এখন আর কোনো প্রবলেম নেই। কিছু ফিলিং হয়তো ভবিষ্যতে লাগতে পারে। তবে তার কোনো অভিযোগ নেই। তিনি জানান, তাকে (খালেদা জিয়া) মাউথ ওয়াশ দেয়া হয়েছে, ওটা দিয়ে প্রতিদিন কুলি করবেন।
বিএসএমএম্ইউতে সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ ব্রিফিং হয়। বেলা দেড়টায় খালেদা জিয়াকে কেবিন ব্লক থেকে হাসপাতালের ‘এ’ ব্লকে নেয়া হয় দাঁতের চিকিৎসার জন্য। দন্ত সংরক্ষণ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক শামসুল আলম তার চিকিৎসা দেন। এ সময়ে ম্যাক্সিলারি সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক কাজী বিল্লুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন। মূলত বিল্লুর রহমান প্রথম খালেদা জিয়াকে দেখেন। এরপর অধ্যাপক শামসুল আলমের কাছে রেফার করা হয়। সংবাদ ব্রিফিংয়ে অধ্যাপক মজিবুর রহমান তালুকদারও উপস্থিত ছিলেন।
পরিচালকের ব্রিফিংয়ে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদশ-ড্যাবের বিএসএমএমইউ শাখার সভাপতি অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নানাবিধ সমস্যা। দাঁতের সমস্যা, জিহবায় ঘা হয়েছে। তিনি হাঁটতে পারছেন না, দুইজনের সাহায্য নিতে হচ্ছে। ডায়াবেটিস, আথরাইটিস ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত। আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ রাখছি, তার সর্বোচ্চ সুচিকিৎসা যেন দেয়া হয়। আমরা ডাক্তার হিসেবে দ‚র থেকে যতটুকু দেখেছি, ম্যাডাম অত্যন্ত অসুস্থ। তার আরো ভালো ও উন্নত চিকিৎসা দরকার। এ জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি যে, তার সুচিকিসার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হোক।
এ সময়ে ড্যাব নেতা অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম সেলিম, আ ন ম মনোয়ারুল কাদির বিটু, এহতেশামুল হক তুহিন, সাইফুদ্দিন নেসার আহম্মেদ তুষার, রেজাউল আলম, কামরুজ্জামান মিন্টু, শাকিল আহম্মেদ, ইয়াহিয়া খান, মহিলা দলের সাবিনা ইয়াসমীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বেলা ১টা ২০ মিনিটের দিকে কেবিন ব্লক থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে হুইল চেয়ারে করে খালেদা জিয়াকে একটি মাইক্রোবাসে ‘এ’ ব্লকে ডেন্টাল বিভাগে নিয়ে আসা হয় এবং ২টা ২৬ মিনিটে আবার তাকে ৬২১ নম্বর কেবিনে ফিরিয়ে নেয়া হয়। গত ১ এপ্রিল থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।