পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ভয়াবহ আকারে দেখা ডেঙ্গু জ্বর। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগীর ঠাঁই নেই। জীবন বাঁচাতে অনেকেই গ্রামের বাড়ীতে চলে যাচ্ছে। রোগী সামলাতে হিমসিম খাচ্ছেন সারাদেশের চিকিৎসকরা। ইতিমধ্যে দেশের ডেঙ্গুর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে একে উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ডেঙ্গুর এই অনিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতিকে প্রায় মহামারি হিসেবে উল্লেখ করেছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে আতঙ্কে পুরো দেশ। ফেইসবুক, টুইটার, ইউটিউসবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ডেঙ্গু নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন নেটিজেনরা।
ডেঙ্গুর সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিক সাকলাইন রাসেল ফেইসবুকে এক দীর্ঘ স্টাট্যাসে লিখেন, ‘এক ধরণের দমবন্ধ বা ভ্যাপসা ফিলিং হচ্ছে। চারিদিক ডেঙ্গুময়! ফোন রিসিভ করলেই ডেঙ্গুর পরামর্শ! ভাই, আমার ডেঙ্গু! ভাই, আমার বোনের ডেঙ্গু! আমার বাচ্চার ডেঙ্গু! এর ডেঙ্গু, ওর ডেঙ্গু! কতশত ডেঙ্গু রোগী, অলরেডি ৩ জন চিকিৎসক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। এর মধ্যে একজন সিভিল সার্জনও আছেন! নিজেকে নিয়ে, নিজের পরিবারকে নিয়ে নিজের আপনজনদের নিয়ে আমি নিজেই আতংকে আছি! অথচ কর্তাবাবুদের আচরণ! 'এই চুপ চুপ, চোখ কান বন্ধ কর, কেউ কিছু বলিস না, কাউকে কিছু বলতে দিস না, পাছে পাবলিক ক্ষেপে যাবে! আমাদের ব্যর্থতা বুঝে ফেলবে!'......... আল্লাহ সাহায্য করো! দিন শেষে তোমাতেই ভরসা..তোমাতেই সুস্থতা খোঁজা...মানুষ কেবল অসীলা মাত্র!’
‘ডেঙ্গু সমস্যা সমাধানে সরকারকে আরও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা আবশ্যক। পাশাপাশি সকলের ব্যাক্তিগত সচেতনতাও জরুরী। আতঙ্ক নয়, সচেতন হোন।’ - লিখেছেন এইচ আর টনু।
লেখক ও অ্যাকটিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য লিখেন, ‘ডেঙ্গু ভয়াবহ আকার ধারণ করে মহামারীর রূপ নিয়েছে। এই ডেঙ্গু প্রতিরোধে নৈশ ভোটের সরকারের কোন উদ্যোগ নেই। নিজে উদ্যোগ নিন, আপনার পরিবারের সুরক্ষা নিশ্চিত করুন। যদি আপনাদের আপত্তি না থাকে তাহলে সূর্যোদয়ের দুই ঘণ্টা পরে একবার আর বিকেল পাঁচটার দিকে একবার সারা বাসায় ধূপের ধোঁয়া দিন, ডেঙ্গু মশা থাকবে না। .....‘
‘সিটি করপোরেশনগুলো যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করলে হয়তো পরিস্থিতি এতটা ভযাবহ হতো না।’ - ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেন রফিকুল ইসলাম।
রুহুল আমিন রিপন লিখেন, ‘ডেঙ্গু জ্বর স্মরনকালের ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। দেশে দ্রুত জরুরি অবস্থা জারি করা দরকার। এর ১০টি কারণ: ১! স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরাতে গণমাধ্যমের খবর: আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে তিন লাখ ছাড়িয়েছে! ২! ঢাকায় কোন হাসপাতালের আইসিইউ খালি নেই বললেই চলে! ৩! রক্তের চাহিদা বেড়েছে ৮ থেকে ১০ গুণ! ৪! ডেঙ্গুর লক্ষণ ও উপসর্গ বদলে গেছে! ৫! সিটি কর্পোরেশনের ওষুধে এডিস মশা দমন করা যাচ্ছে না! ৬! দেশের সবখানে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। শুধু ঢাকা বা চট্টগ্রামের মধ্যে ডেঙ্গু সীমাবদ্ধ নেই! ৭! আইসিইউ সংকটের কারণে চিকিৎসার ব্যয় বেড়ে গেছে! ৮! এখন পর্যন্ত শুধু ঢাকায় অন্তত ২৬ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে ডাক্তার, শিশু, কিশোর ছাড়াও নানা বয়সী মানুষ আছে! ৯! সংক্রামক রোগের মতো অনেক পরিবারের তিন চার সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন! ১০! ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণহীন!’
অনতিবিলম্বে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারে কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি আক্রান্তদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।’ - টুইটারে লিখেন জাহিদুর রহমান।
ফিরোজ খান লিখেন, ‘ডেঙ্গু থেকে মুক্তি পেতে হলে সরকারের পাশাপাশি আমাদেরকেও সচেতন হতে হবে।যেমন বাড়ির আশপাশের জায়গা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে, মশারি টানাতে হবে, আক্রান্ত হওয়ার সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে ইত্যাদি।
এছাড়াও ফেইসবুক ও টুইটারে ডেঙ্গু জ্বর থেকে বাঁচার উপায়, আক্রান্ত হলে করণীয় নানা বিষয় নিয়ে স্টাট্যাস দিয়েছেন অনেকেই। ইউটিউবেও এ বিষয়ে প্রকাশ ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।