পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসায় বাংলাদেশের সাফল্য বিশ্বের যে কোনো দেশের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে। বিশ্বের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে ফিলিপাইনে প্রায় ৫০০ জন, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়ায় প্রায় ১০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অথচ বাংলাদেশে গত জানুয়ারি থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ৭ হাজার ৭৬৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হলেও ৫ হাজার ৯৩৮ জন ডেঙ্গু রোগীই দেশের সরকারি হাসপাতালগুলো থেকে সেবা নিয়ে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরে গেছেন। এর মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরে দেশে মাত্র ৮ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। যদিও প্রতিদিনই নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছেন, একই সঙ্গে প্রতিদিনই প্রচুরসংখ্যক মানুষ সুচিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরে যাচ্ছেন। সুতরাং ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত হবার কিছু নেই। ডেঙ্গু রোগে সুচিকিৎসার সব ধরণের ব্যবস্থাপনা সরকারি হাসপাতালে রয়েছে। তবে ডেঙ্গু রোগের বিস্তাররোধ করতে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনকে মশা মেরে ফেলতে আরো জোড়ালো ভূমিকা রাখতে হবে।
গতকাল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মিলন অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন আয়োজিত একটি বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে ‘ডেঙ্গু জ্বরের বর্তমান সময়ের ভয়াবহতা ও কার্যকরী ব্যবস্থাপনার’ ওপর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কথাগুলো বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব প্রফেসর ডা. এম এ আজিজ, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর খান আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের সভাপতি প্রফেসর মো. বিল্লাল আলম ও মহাসচিব প্রফেসর আহমেদুল কবির প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন। অধিবেশনে দেশে ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে বিদ্যমান ভয়াবহতা ও ডেঙ্গু জ্বরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিষদ আলোচনা করা হয়।
উল্লেখ্য, বিশে^র অন্যান্য দেশে ডেঙ্গু জ্বরের কারণে রোগীর মৃত্যু সংখ্যা অনেক বেশি হলেও বাংলাদেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে মেডিসিন চিকিৎসকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে ডেঙ্গু জ্বরের মৃত্যুর হার ততটা ভয়াবহ নয়। এ বিষয়ে ভবিষ্যতে আরো সমন্বিত চিকিৎসা প্রয়োজন রয়েছে বলেও আলোচকরা উল্লেখ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।