পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তুরাগ নদীর একটি চ্যানেল পুরোপুরি দখল হয়ে যাওয়ার পর তা উদ্ধার এবং সেখানে পুনরায় পানির প্রবাহ ফিরিয়ে আনা হয়েছে। দেশের প্রথমবারের মতো নদী পুরোপুরি দখলমুক্ত করার পর আয়োজন করা হয়েছে উৎসবের। গতকাল নদীর অংশটিকে নৌ চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এ সময় গান-বাজনা আর উৎসবের মধ্য দিয়ে সেটিকে বরণ করে নৌ-মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয়রা। মাঝি মাল্লার বেশে অনুষ্ঠানে যোগ দেন অনেকেই। জয়ের উল্লাসে বাইচের নৌকা দিয়ে দাপিয়ে বেড়িয়েছে নদীর উদ্ধার হওয়া অংশে।
বসিলায় পুনরুদ্ধারকৃত তুরাগ নদীর চ্যানেল আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে গাবতলী ল্যান্ডিং স্টেশনে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি বা প্রভাব খাটিয়ে নদী দখল করা যাবেনা। নদী দখলকারিদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স দেখিয়েছেন। শুধু নদী দখল নয়, যেকোন ধরণের দখল ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স দেখিয়ে যাব। অবৈধ দখল উচ্ছেদে আমরা কাজ করে যাচ্ছি, উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে রক্ষা, নদীর দখলরোধ ও দূষণের হাত থেকে রক্ষায় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় হাঁটছি। একটা দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে যাত্রা শুরু করেছি, আশা করছি লক্ষ্যে পৌঁছব। প্রতিমন্ত্রী জানান, নদী দখল, দূষণরোধ ও নৌপথ খননের মাধ্যমে বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার মধ্যে সমন্বয় তৈরি হয়েছে। সামনের দিকে কাজে আরো গতিশীলতা আসবে। নদী তীর দখল ও দূষণরোধে উচ্ছেদ কার্যক্রমে জনমত সৃষ্টিতে গণমাধ্যমকে তিনি ধন্যবাদ জানান।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: আবদুস সামাদ এবং বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুব উল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, একটি হাউজিং প্রতিষ্ঠান নদীর চ্যানেলটি দখল করে সেখানে গড়ে তোলে বিশাল আয়তনের হাউজিং প্রকল্প। চলমান উচ্ছেদ অভিযানের ১১ তম দিনে যেখানে আঘাত হানে বিআইডবিøউটিএ। বালি ও মাটি দিয়ে ভরাট করা নদীর চ্যানেলটিতে পানির প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে প্রায় ৪০ ফুট পর্যন্ত ড্রেজিং করতে হয়। গত ২৯ জানুয়ারি বুড়িগঙ্গা নদীর খোলামোড়া ঘাট থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে বিআইডবিøউটিএ। চার পর্বে পরিচালিত মোট ৫০ কার্যদিবসের বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও বালু নদীর উভয় তীর মিলিয়ে সর্বমোট ১৫৭ কিলোমিটার নদী তীরভূমিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।